রাশিয়া থেকে মিসাইল কিনছে বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৯ এএম, ২৪ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫২ পিএম, ২৬ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী রাশিয়ার তৈরি কেএইচ-৩১এ এন্টি-শিপ মিসাইল (ক্ষেপণাস্ত্র) কেনার অর্ডার দিয়েছে বলে জানা গেছে। মিগ-২৯বিএম মাল্টিরোল ফাইটারে এসব মিসাইল সংযোজন করা হবে। সম্প্রতি বেলারুশ থেকে ফাইটারগুলো আপগ্রেড করে আনা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সাউথ এশিয়ান মনিটর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদেন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য কেএইচ-৩১এ মিসাইলগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে সারফেসের যেকোনো লক্ষ্যবস্তুতে যথাযথভাবে আঘাত হানতে পারে। এই মিসাইল দিয়ে সাড়ে ৪ হাজার টন ডিসপ্লেসমেন্ট ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা যাবে।
রাশিয়ার অস্ত্র কেনাবেচার দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান রজোবরোনেক্সপোর্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাকটিভ রাডার সিকার ধরনের মিসাইল হলো কেএইচ-৩১এ। এর পূর্বসূরি হচ্ছে কেএইচ-৩১পি। এর উন্নত সংস্করণটি লেয়ার্ড এয়ার ডিফেন্স ভেদ করতে সক্ষম।
খবরে বলা হয়েছে, এই মিসাইলগুলোতে মিড-কোর্স রাডার গাইডেন্স এবং টার্মিনাল হোমিং ব্যবস্থা রয়েছে। এতে রয়েছে এআরজিএসএন-৩১ জ্যাম-রেজিসট্যান্ট অ্যাকটিভ রাডার গাইডেন্ট সিস্টেম। এর ফলে মিসাইলটি এক গ্রুপ একই ধরনের জাহাজের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট টার্গেট খুঁজে বের করতে সক্ষম। এতে রয়েছে ৯৪ কেজি ওজনের আর্মার-পিয়ার্সিং ওয়্যারহেড। টার্গেট শনাক্ত করাই হলো মিগ-২৯এস ঝুক-এমই ফায়ার কন্ট্রোল রাডারের কাজ। এসব মিসাইল থাকে সিল করা কনটেইনারের ভেতর।
জানা গেছে, কেএইচ-৩১এ মিসাইলের সর্বোচ্চ ফায়ারিং রেঞ্জ ৭০ কিলোমিটার। এর সর্বোচ্চ গতি ১ এম/সে। মিসাইলটির অপারেশনাল উচ্চতা ১৫ হাজার মিটার। উৎক্ষেপণকালে প্রতিটি মিসাইলের ওজন হয় ৬১০ কেজি। এটির টার্গেটে আঘাত হানার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ারপ্লাটফর্মগুলোতে অত্যাধুনিক গোলাবারুদ যোগ করছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। এর আগে তুরস্কের অরিজিন তিবের লেজার গাইডেড মিউনিশন এবং চীনের এলএস-৬/২৫০ গাইডেড মিউনিশন কেনা হয়েছে এফ-৭বিজি/বিজি১ বহরের জন্য। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে শিগগিরই আরো আধুনিক বিভিআর এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কিনতে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে সাউথ এশিয়ান মনিটর।