খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণের তাগিদ বৃটেনের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:৪৪ এএম, ২৭ জুলাই,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪২ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দিদের প্রতি মানবিক আচরণের তাগিদ দিয়েছে বৃটেন।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিসের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া এবং মানবাধিকার দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমদ অব উইম্বলডন এ তাগিদ দেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক বৃটিশ উন্নয়নকর্মীর চিঠির জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেন- বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ও মর্যাদা এবং কারান্তরীণ ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনায় যুক্ত আছি। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা পেতে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং ভবিষ্যতেও সেটি অব্যাহত রাখবো। দেশে আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ সরকার এবং বেসরকারি পর্যায়ে বৃটেন তার জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বার্মিংহামের ট্রিনিটি রোডস্থ নিউ হোপ গ্লোবাল এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিইকে লেখা জবাব চিঠিতে বৃটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদ লিখেন, প্রিয় জনাব উদ্দিন, বাংলাদেশের মানবাধিকার এবং খালেদা জিয়ার কারাবাস বিষয়ে গত ১০ই জুন প্রধানমন্ত্রী বরাবর লেখা আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। আমি দক্ষিণ এশিয়া এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আপনার চিঠির উত্তর দিচ্ছি। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের রিপোর্টে বৃটেন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস বছরান্তে বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যে রিপোর্ট প্রকাশ করে তাতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিফলিত হয়।
গত রিপোর্টে আটক ব্যক্তিদের চিকিৎসাসহ মানবাধিকার বিষয়ক উদ্বেগগুলো তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আলোচনা করছি। চিঠিতে ২০২০ সালের সেই রিপোর্টে লিংক শেয়ার করে প্রতিমন্ত্রী মিস্টার আহমদ লিখেন- ৮ই জুলাই ২০২১ সালে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েথ-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টটি আপনি ফের দেখতে পারেন। ফিরতি চিঠিতে বৃটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেন- আমি ২০২১ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করি।
সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকার, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়। তাদের সঙ্গে আলাপে আমি মানবাধিকার প্রশ্নে বৃটেনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছি। উদ্বেগের বিষয়গুলো তুলে ধরতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বৃটেন প্রতিনিয়তই যুক্ত থাকবে এবং একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টায় আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।