পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী গ্রেপ্তার, সহযোগীর বাড়িতে থেকে ২০ কোটি রুপি উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:০৩ পিএম, ২৩ জুলাই,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫২ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। আনন্দবাজার পত্রিকা, এনডিটিভিসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পার্থ চ্যাটার্জির নাকতলার বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যায় ইডির একটি দল। রাতভর মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় ইডি। ওই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন।
ইডির দাবি, সাবেক বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বাধীন কমিটির রিপোর্টে ও সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন জানান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশেই সব নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনিই নিয়োগের মূল নিয়ন্ত্রক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে নথি সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ করে তা যাচাই করেন ইডির কর্মকর্তারা।
এরপর এক বিবৃতিতে শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়ি থেকে ২০ কোটি রুপি উদ্ধার করার কথা জানায় ইডি। বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কোটি রুপি নগদ পাওয়া গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় সেই অর্থ মেশিনে গণনার কাজ করেছেন ইডি কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া ওই বাড়ি থেকে ২০টিরও বেশি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় ইডি। ওই অর্থ স্কুলে বেআইনি নিয়োগে নেওয়া ঘুষের অংশ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে নগদ অর্থ উদ্ধারের ছবি টুইটারে শেয়ার করে ইডি জানায়, পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্তদের বিভিন্ন অবস্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও যাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে তারা হলেন-পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী, তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক ও পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিশেষ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা পি কে বন্দোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য, এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহভাজন এজেন্ট চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাতা কল্যাণময় ভট্টাচার্য, কল্যাণময়ের আত্মীয় কৃষ্ণা চন্দ্র অধিকারী, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা এস পি সিনহা এবং পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলি এবং সৌমিত্র সরকার।