আসামে দ্বিতীয় দফা বন্যা, এ পর্যন্ত মৃত্যু ১১৭
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৩৭ পিএম, ২৫ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৮ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভারতের আসাম রাজ্যে দুটি বড় ইভেন্ট চলমান এখন। একটি হলো মহারাষ্ট্রের বিধায়কদের ক্ষমতার লড়াইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অন্যটি বিধ্বংসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই। রাজ্যের ৩৫টি জেলার মধ্যে ২৮টিতে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ এ বছর এপ্রিল থেকে বন্যার শিকার। এর ফলে সেখানে দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে মারা গেছেন কমপক্ষে ১১৭ জন।
রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর শিলচরের শতকরা ৮০ ভাগ পানির নিচে। সেখানে মানুষ খাদ্য ও খাবার পানির জন্য প্রতিক্ষণ লড়াই করছে। এমন অবস্থার মধ্যে গুয়াহাটিতে অবস্থিত র্যাডিসন ব্লু হোটেল পরিণত হয়েছে শিবসেনাদের ক্ষমতা নিয়ে লড়াইয়ের কেন্দ্রবিন্দু। মহারাষ্ট্রে তাদের মধ্যে যে লড়াই শুরু হয়েছে, তা এই হোটেলকেও আক্রান্ত করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনার বিদ্রোহী ও মন্ত্রী একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন দলের বেশির ভাগ বিধায়কের সমর্থন আছে তার প্রতি। এ নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তাতে মহারাষ্ট্রের সরকার পতনের হুমকি দেখা দিয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, এটা শিবসেনাদের আভ্যন্তরীণ লড়াই। কিন্তু গুয়াহাটির ওই হোটেলে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতাকে দেখা গেছে। এতে ভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। কারণ, শিলচরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। মানুষের অবস্থা ত্রাহি ত্রাহি। এ সময় রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু অধিবাসী।
একজন অধিবাসী বলেছেন, আসাম ডুবে যাচ্ছে। আর মহারাষ্ট্রের কাহিনী নিয়ে হোটেলে সমবেত হয়েছেন মন্ত্রীরা। তারা একটি পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করছেন বিধায়ক কেনাবেচায়। এটাই কি আসাম সরকারের দায়িত্ব? আরেকজন অধিবাসী বলেছেন, জনগণ তাদের বাড়িতে আটকা পড়েছেন পানির কারণে। মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মার উচিত ডুবে যাওয়া এলাকায় আটকে পড়া এসব মানুষের কাছে যাওয়া।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসুন এবং পরিস্থিতি মূল্যায়ন করুন। বন্যার কারণে বহু মানুষ আটকে পড়েছেন। ঠিক এখনই তাদেরকে সাহায্য করা প্রয়োজন। মানুষজন বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না।
ওদিকে বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে বিক্ষোভ র্যালি করেছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলো। মহারাষ্ট্রের বিধায়কদেরকে তারা ফেরত পাঠানোর দাবি তুলেছেন এবং সরকারকে বন্যা ব্যবস্থাপনার দিকে দৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিডিয়ার এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্বশর্মা বলেন, রাজ্যের অনেক স্থানে বন্যা হয়েছে। এ জন্য আমার কি উচিত গুয়াহাটির এই হোটেলটি বন্ধ করে দেয়া? পর্যটনকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা প্রচুর অর্থ খরচ করেছি। এখন এসব পর্যটনে যেসব মানুষ এসেছেন তাদেরকে কি আসামে আসা বন্ধ করে দেবো?