সাদা বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৪৪ পিএম, ১৬ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৫৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে অবশেষে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাদা বাড়ির জবর-দখল রাখতে হেন কোনো কাজ নেই যা তিনি করেননি। কিন্তু আখেরে জনতারই জয় হলো। জনরায় মেনেই বিদায় নিচ্ছেন তিনি। যদিও এই প্রস্থান মোটেই গৌরবের নয়; অপমান, লজ্জার এবং বেদনার। জানা যায়, বাইডেনের শপথ গ্রহণের আগেই আগামী ২০ জানুয়ারি সকালে ওয়াশিংটন ছেড়ে যাবেন ট্রাম্প। পাড়ি জমাবেন ফ্লোরিডার পাম বিচের মার-এ-লাগো ক্লাব হাউসের উদ্দেশে স্বপরিবারে।
এ সময় হোয়াইট হাউসের বিপরীতে রাস্তার অপর পাশে ব্লেয়ার হাউসের রাষ্ট্রীয় অতিথি শালায় থাকবেন শপথ নিতে অপেক্ষমাণ নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন। এয়ারফোর্স ওয়ানে এটা হবে ট্রাম্পের শেষ যাত্রা। যদিও এ যাত্রায় তার প্লেনের কল সাইন এয়ারফোর্স ওয়ান থাকবে না।
জো বাইডেন শপথ নিলেই বদলে যাবে প্লেনের কল সাইন। যেমন- প্রেসিডেন্ট ওবামা যখন ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসের চাবি তুলে দিয়ে বিদায়ী যাত্রায় এয়ারফোর্স ওয়ানে চড়লেন তখন প্লেনের কল সাইন হয়ে গেল স্পেশাল মিশন ৪৪। একইভাবে ট্রাম্পের ফ্লাইট এর কল সাইন হতে পারে স্পেশাল মিশন ৪৫। ট্রাম্পের মাল সামান নিয়ে আগেই ওয়াশিংটন ছেড়ে যাবে মুভিং কোম্পানির বিশাল ট্রাক।
এয়ারফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জামাতা কুশনার তার সঙ্গী হচ্ছেন। মেলানিয়া ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের স্টাফরা এখন ট্রাম্প পরিবারের জিনিসপত্র প্যাকিংয়ের কাজে ব্যস্ত। যদিও নির্বাচনে পরাজয় না মানা ট্রাম্পের অগোচরে এই কাজ আগে থেকেই শুরু করেছিলেন ফার্স্ট লেডি।
মেলানিয়া ট্রাম্পের কপালে হোয়াইট হাউসের নতুন অতিথি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনকে কফি পানে আপ্যায়ন করার সুযোগ জুটলো না। মার্কিন ঐতিহ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ফার্স্টলেডি ও প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডিকে প্রথমে কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন হোয়াইট হাউসে। তারপর নতুন প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডিকে মেরিন ওয়ানের হ্যালিপ্যড পর্যন্ত বিদায় জানিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগে আরও তিনজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টদের শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি। তারা হলেন- ১৮০১ সালে জন আ্যডামস, ১৮২৯ সালে তার ছেলে জন কুইন্সি আ্যাডামস এবং ১৮৬৯ সালে উইলিস গ্রান্ড।