ইউক্রেনের বুচায় ৪ শতাধিক মরদেহ উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭:২২ পিএম, ১৩ এপ্রিল,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:১৬ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ইউক্রেনের কাছে অবস্থিত বুচা শহর থেকে এখন পর্যন্ত চার শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বুচার মেয়র আনাতোলি ফেডোরুক।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৪০৩ জনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, বুচা শহর দখলের সময় এসব মানুষকে হত্যা করেছে রুশ বাহিনী। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
আনাতোলি ফেডোরুক আরও বলেন, গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ার সেনারা পিছু হটলেও পালিয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের এখনো শহরে (বুচা) ফিরে আসার সময় হয়নি।
রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে বুচায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে মেয়র ফেডোরুকের মন্তব্য যাচাই করতে পারেনি। তবে বুচায় নিহত পাঁচজনের মরদেহ দেখেছে রয়টার্স, যাদের মাথায় গুলি করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মৃত্যুর জন্য কে দায়ী, স্বাধীনভাবে তা যাচাই করতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি।
যদিও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু বানানোর কথা অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের উদ্দেশ্যকে ‘মহৎ’ বলে উল্লেখ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এই অভিযানে মস্কো অবশ্যই সফল হবে বলেও দাবি করেন তিনি। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন পুতিন।
তিনি বলেন, দনবাসের মানুষের প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সেনাবাহিনী। সাহসিকতার সঙ্গে তারা ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে লড়াই করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ ছিল। ফলে এই যুদ্ধে আমাদের জয় নিশ্চিত।
অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) আইওয়া অঙ্গরাজ্যের মেনলোতে এক অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ তোলেন বাইডেন। রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে এবারই প্রথম ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহার করলেন তিনি। এর আগে ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন বাইডেন।
এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এটাকে (ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান) গণহত্যা বলেছি। আক্ষরিক অর্থে, ইউক্রেনে রাশিয়ানরা যে ভয়ংকর কাজ করেছে প্রতিনিয়ত তার আরও বেশি প্রমাণ বেরিয়ে আসছে।’