খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরানো সম্ভব নয় : ইউএনএইচসিআর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:০০ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:২৯ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশে জেলহত্যা মামলার আসামি সাবেক হাইকমিশনার মো. খায়রুজ্জামানকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশ। বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিলেও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক কমিশনার (ইউএনএইচসিআর)।
আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
ইউএনএইচসিআর বলেছেন, খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নিয়ে অবস্থান করায় তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। কারণ এটি হবে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।
জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা আরও জানান, মালয়েশিয়ার সরকার খায়রুজ্জামানকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে পারে না। কারণ এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হবে। শরণার্থী পুনর্বাসন আইন অনুযায়ী, সরকার কোনো শরণার্থীকে এমন কোনো স্থানে পাঠাতে পারে না, যেখানে তার জীবন হুমকির মুখে পড়বে। ১৯৫১ সালের চুক্তিতে সই করা না করা সব দেশের জন্যই শরণার্থী বিষয়ক আইনটি বাধ্যতামূলক।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আমপাংয়ে নিজ বাসা থেকে এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। খায়রুজ্জামান অবসরপ্রাপ্ত মেজর, ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরে খালাস পেয়ে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু খায়রুজ্জামান কুয়ালালামপুরে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নিয়ে সেখানেই থেকে যান।
মালয়েশিয়ার বার কাউন্সিলের অভিবাসী এবং শরণার্থী কমিটির সহ-সভাপতি বলেন, কোনো ব্যক্তি তার জাতি, ধর্ম বা রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে জীবন বা স্বাধীনতার জন্য হুমকির সম্মুখীন হলে সরকারের তাকে ফেরত পাঠানো উচিত নয়।
এর আগে খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিতা রহমান বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার স্বামীর গ্রিন কার্ডের আবেদন মঞ্জুর করেছে। কিন্তু মালয়েশীয় পুলিশের নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য তা আটকে রয়েছে। অনেকবার আবেদন করেও এটি শেষ করা যায়নি।