চীনে ফের লকডাউনের আওতায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:২৮ পিএম, ৮ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চীন পারে না, এমন কোনও কাজ নেই! করোনার উৎসস্থল হয়েও যেভাবে দ্রুত মহামারী ‘নিয়ন্ত্রণে এনেছে’ কমিউনিস্ট দেশটি তার ফলে চৈনিক শাসনতন্ত্রের কর্মদক্ষতার প্রশংসায় অনেকেই পঞ্চমুখ। কিন্তু শাপমুক্তি যে এত সহজ নয় তা ফের বুঝিয়ে দিল একটি আণুবীক্ষণিক জীব। চীনের উত্তরের শহর শিজিয়াজুয়াংয়ে শতাধিক মানুষ সংক্রমিত হওয়ায় ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে এল বেজিং।
সিএনএন সূত্রে খবর, রাজধানী বেজিংয়ের অদূরেই অবস্থিত শিজিয়াজুয়াং শহরের বাসিন্দাদের যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শহরে প্রবেশ ও প্রস্থানের সমস্ত রাস্তায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। সেখানকার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, শহরজুড়ে ৫ হাজারের বেশি পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যাতে সব বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান শহরে প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। তারপর দ্রুত সেই মারণ জীবাণু গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এই মারণরোগে আমেরিকার মতো উন্নত দেশে কয়েক লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু চীন সরকারের পরিসংখ্যান মতে সে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা হাজার পাঁচেক মাত্র। এছাড়া। দ্রুত সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে ইউহান শহরও আপাতত নিজস্ব ছন্দে চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে, ফের উদ্বেগ হেবেই প্রদেশের বাড়িয়েছে শিজিয়াজুয়াং শহর। ওই প্রদেশে বৃহস্পতিবার ১২০ জন নতুন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনাদের নতুন বছর শুরু হবে। ফলে নববর্ষ উপলক্ষে কেনাকাটা থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ জানানো চলছে পুরোদমে। এহেন পরিস্থিতিতে এক কোটিরও বেশি মানুষ লকডাউনের আওতায়। তবে সে দেশের জনগণকে স্বস্তি দিয়ে সম্প্রতি সিনোফার্মের (Sinopharm) তৈরি করোনা টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে বেজিং। কিন্তু , সিনোফার্মের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনে (Corona vaccine) নেওয়ার পর বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ইঞ্জেকশনে অংশে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, দৃষ্টি ও ঘ্রাণশক্তি কমে আসা, উচ্চ রক্তচাপ-সহ একাধিক সমস্যা ভুগছেন স্বেচ্ছাসেবকরা বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে নতুন বছরেও যে করোনার শাপ থেকে মুক্তি পাবে চীন সেই আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে।