চীনের সহায়তায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে সৌদি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:০১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সৌদি আরব এখন চীনের সহায়তায় সক্রিয়ভাবে নিজস্ব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, এটি এমন একটি ঘটনা, যা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে এবং ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্খা রোধে বাইডেন প্রশাসনের প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে। সিএনএন।
সৌদি আরব অতীতে চীনের কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিজেরা তৈরি করতে পারেনি। সবশেষ গোয়েন্দা তথ্যের সাথে পরিচিত তিনটি সূত্র এ খবর জানিয়েছে। সিএনএনের হাতে আসা স্যাটেলাইট চিত্রগুলো সে কথাই বলছে।
হোয়াইট হাউজের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলসহ কয়েকটি সংস্থার হাতে গত কয়েক মাসে সৌদি আরবের কাছে চীনের সংবেদনশীল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তরের তথ্য রয়েছে।
সৌদি আরবের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অগ্রগতি আঞ্চলিক শক্তির গতিশীলতাকে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন করতে পারে। এ ছাড়া ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তির শর্তাবলী প্রসারিত করার প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলতে পারে। এসব ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন এখন চাপের মুখে রয়েছে। সৌদি আরবের এই অর্জন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ইসরাইল ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
বলা হচ্ছে, ইরান ও সৌদি আরব চরম শত্রুদেশ। সৌদি ওই ক্ষেপণাস্ত্রে নিজস্ব উৎপাদন শুরু করলে তেহরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বন্ধ করতে আর রাজি হবে না। মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জেফরি লুইস বলেছেন, ইরান বৃহৎ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে গভীর মনোযোগ দিয়েছে। তবে সৌদি আরবের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এ কাজে সৌদি আরব এবং ইসরাইলের নেতাদের জড়াতে হবে। যেকোনো মার্কিন প্রতিক্রিয়া চীনের সাথে কূটনৈতিক বিবেচনার কারণেও জটিল হতে পারে।
কারণ বাইডেন প্রশাসন জলবায়ু, বাণিজ্য এবং মহামারীসহ অন্যান্য উচ্চ অগ্রাধিকার নীতির বিষয়ে বেইজিংকে পুনরায় যুক্ত করতে চায়। ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এবং সিআইএ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, দুই দেশ বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদার এবং সব ক্ষেত্রে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বজায় রেখেছে, সামরিক ও বাণিজ উভয়ক্ষেত্রে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের সহযোগিতা কোনো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে না এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তারকে উৎসাহিত করে না। সৌদি সরকার এবং ওয়াশিংটনের দূতাবাস মন্তব্যের জন্য সিএনএনের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।