যুক্তরাষ্ট্রে সিনেট নির্বাচন মঙ্গলবার : লড়াইয়ে এগিয়ে ডেমোক্রেটরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪১ এএম, ২ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩০ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের দুটি রানঅফ নির্বাচন জমে উঠেছে। আগামী ৫ জানুয়ারি জর্জিয়া রাজ্যের এই দু আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী রিপাবলিকান বর্তমান সিনেটের ডেভিড প্রাডু গতকাল কোয়ারেন্টিনে চলে গেছেন জনৈক কোভিড রোগীর সান্নিধ্য আসার কারণে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দু রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান আসন দুটি নিজেদের পক্ষে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই বলে বিবেচনা করছে দুপক্ষ।
৩১ ডিসেম্বরের সর্বশেষ জরিপে ডেমোক্রেট দু প্রার্থী তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে আছেন। কয়েক শ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই হাই প্রোফাইল সিনেট নির্বাচন নির্ধারণ করবে আগামী দিনের আমেরিকার রাজনীতির গতিপথ। নির্বাচনে ইতিমধ্যে প্রায় রেকর্ড আড়াই মিলিয়ন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন। সিনেটের নিয়ন্ত্রণ পেতে রিপাবলিকান পার্টির প্রয়োজন মাত্র ১ টি আসন।
পক্ষান্তরে ডেমোক্রেটদের দরকার দুটোই। বর্তমানে রিপাবলিকান পার্টির ৫০ ও ডেমোক্রেটদের ৪৮ আসন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আইন সভার উচ্চ কক্ষ সিনেটে। সিনেটে মোট সদস্য সংখ্যা ১শ।
ডেমোক্রেট প্রার্থীদের পক্ষে আগাম ভোটে গণজোয়ার দেখে রিপাবলিকান নেতৃত্ব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কপালে পড়েছে ভাঁজ। কিন্তু গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো ডেমোক্রাটরা আত্মতুষ্টিতে নেই। তারা জরিপেও কান দিচ্ছন না। প্রায় ৯ মিলিয়ন মোট ভোটারের মধ্যে আড়াই মিলিয়নের বেশি স্বশরীরে অথবা ডাকযোগে আগাম ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে রিপাবলিকান বর্তমান দু সিনেটের ডেভিড প্রাডু ও কেলী লাফলারের সাথে লড়ছেন ডেমোক্রেট জন আসফ এবং রাফায়েল ওয়ারনক।
গত ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে প্রার্থীরা রাজ্যের আইন অনুযায়ী কাস্টিং ভোটের ৫০ ভাগ ভোট নিজের পক্ষে টানতে ব্যর্থ হওয়ায় সিনেট নির্বাচন রানঅফ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ছিল প্রথমে। তবে নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে বাড়ছে ডেমোক্রাট প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা।
ফাইভ থারটি এইটের গতকালের জরিপে ডেমোক্রেট জন অসফ শতকরা শূন্য দশমিক ৯ এবং ওয়ারনক ১ দশমিক ৮ শতাংশে এগিয়ে রয়েছেন।
ডেমোক্রেট পার্টি থেকে রাজ্য সিনেটে নির্বাচিত প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশী আমেরিকান সিনেটের শেখ রহমান বলেন, এশিয়ান-আমেরিকানদের ভোটের টার্ন আউট নগণ্য। নানাভাবে অ্যাপ্রোচ করে তাদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। কৃষাঙ্গরা নির্বাচনে দলে দলে এসে ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু এশিয়ান জনগোষ্ঠীর তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও অর্ধেকের বেশি এশিয়ান মানুষ ভোট দেননি। তিনি সকলের প্রতি নিজের ভোট প্রদানের আহবান জানান। বলেন, দয়া করে আপনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। এ নিয়ে অবহেলা না করে ভোট দিন। হয়ত এমন দিন আসবে যেদিন চাইলেও ভোট দিতে পারবেন না।