অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারক লিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০৯ পিএম, ২৯ নভেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৯ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসার দাবীতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল মোঃ আশফাক হোসেইনের সাথে স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি এবং অস্ট্রেলিয়া বিএনপির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর দুটি আলাদা স্মারক লিপি হস্তান্তর করেন।
স্মারক লিপিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের আদেশ দিতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে আবেদন করেছেন স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়া।
স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি মোঃদেলওয়ার হোসেন, স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার আহ্ববায়ক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃমোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক কুদরত উল্লাহ লিটন, স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম আহ্ববায়ক মো.মোবারক হোসেন, তারেক উল ইসলাম তারেক, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জিসাস কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খাইরুল কবির পিন্টু, এমডি কামরুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শেখ সাইফ, জিসাস সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন রাজু।
আবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা আপনার আছে। যে ক্ষমতা সংবিধান আপনাকে দিয়েছে। দেশের একজন সাবেক তিন বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর জীবন রক্ষায় সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যাবস্থা করার জোড়ালো দাবী জানান অন্যথায় কঠিন আন্দোলনের হুশিয়ারী।
স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী কমিটি, বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার আহ্ববায়ক(ভারপ্রাপ্ত)মোঃ মোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ স্মারক লিপিতে আরও জানান, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি সাজানো মামলায় ফরমায়েসী রায়ের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়। তাকে যখন কারাগারে নেওয়া হয় তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন, যা দেশবাসী, গণমাধ্যমে অবলোকন করেছেন। দীর্ঘ কারাবাসে তিনি ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হতে থাকেন। কারাগারে নানাবিধ জটিল রোগে ভুগতে থাকলেও সরকার তাতে কর্নপাত করেন নি। দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার তার সুচিকিৎসার জন্য দাবি করা হলেও সরকার অত্যন্ত নির্দয়ভাবে এ বিষয়ে সম্পূর্ণরুপে নির্বিকার থাকে। ২০২০ সালের মার্চে বাংলাদেশে করোনা শুরু হলে বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে নিজ বাসভবনে থাকতে দেওয়া হলেও সরকার এটিকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি বলে অভিহিত করেছে।নিজ বাসভবনে অবস্থান করলেও মূলত : বেগম খালেদা জিয়া বন্দী এবং তার সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
এরপর বেগম খালেদা জিয়া করোনায় গুরুতরভাবে আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেও পোস্ট কোভিট জটিলতা এবং এর উপর নানাবিধ জটিল রোগ তাঁর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে। চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডও তাঁকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করেছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য দাবি জানিয়েছেন শুধুমাত্র বিএনপি'ই নয় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও আইনবিশেষজ্ঞগণ। আজকে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সোচ্চার। সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেশের প্রচলিত আইনে কোন বাঁধা নেইবলে আইন বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী দুর্বিনীত অমানবিক সিদ্ধান্তে জীবন-মরনের সন্ধিক্ষণে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার হরণ। সচেতন দেশবাসী এই নির্দয় সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায় ।
বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে অবিলম্বে বিদেশ পাঠানো না হলে এবং এর ফলে কোন অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটলে সরকার এ দায় এড়াতে পারবে না। জনগন মনে করে সরকার নিজেদের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল খরার জন্য দেশকে অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতেই জনগণের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন আচরণ করছে। এই মুহূর্তে মানবিক বিবেচনায় বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশ পাঠাতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুচিকিৎসা পেতে তাঁকে বিদেশ পাঠানোর দাবি এখন জনদাবিতে পরিনত হয়েছে।