ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবে ২৭ অভিবাসীর মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৫৭ পিএম, ২৫ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্য যাওয়ার পথে নৌকাডুবে কমপক্ষে ২৭ জন অভিবাসী মারা গেছেন। ২০১৪ সালের পর থেকে এটি এই চ্যানেলে দুর্ঘটনায় 'সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির' ঘটনা বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
ফ্রান্সের কালাই উপকূলের কাছে বুধবার সন্ধ্যার পর নৌকাটি ডুবে যায়।
বুধবার রাতে একটি মাছ ধরার নৌকা পানিতে বেশ কিছু লাশ ভেসে থাকতে দেখলে অ্যালার্ম বাজিয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষ ইংলিশ চ্যানেলে নৌযান এবং বিমানের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, নৌকাটিতে ৩৩ জন অভিবাসী ছিল, যাদের মধ্যে দু’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও দু’জন শিশু রয়েছে।
ডুবে যাওয়া নৌকাটিতে থাকা অভিবাসন প্রত্যাশীরা মানব পাচারকারী চক্রের মাধ্যমে ফ্রান্স থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডারমানিন জানিয়েছেন, ফ্রান্সের পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজন সন্দেহভাজন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।
দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন পক্ষের সাথে জরুরি বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন দুর্ঘটনার খবরে তিনি 'বিস্মিত ও আতঙ্কিত।'
ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ তার প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করেছেন যে 'ফ্রান্স ইংলিশ চ্যানেলকে সমাধিক্ষেত্র হতে দেবে না।' ইউরোপের 'যেসব মন্ত্রীরা অভিবাসনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে চিন্তিত', তাদের নিয়ে একটি জরুরি বৈঠকও আহ্বান করেছেন ম্যাক্রঁ।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এই দুর্ঘটনার বিষয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন এবং 'জড়িত চক্রগুলোকে থামাতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ' নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
সম্প্রতি ইংলিশ চ্যানেল হয়ে ছোট নৌকায় হাজার হাজার মানুষ ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে গেছেন। যুক্তরাজ্যের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই ইংলিশ চ্যানেল হয়ে ১৭৯টি ছোট নৌকা অভিবাসীদের নিয়ে যুক্তরাজ্যে যায়। এই বছরে এখন পর্যন্ত মোট ৯২৮টি নৌকা অভিবাসীদের নিয়ে এই যাত্রা করেছে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এই বছরেই ছোট নৌকায় করে বিপদজনকভাবে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে গেছেন ২৫ হাজার সাত শ’ জনের বেশি মানুষ। গত বছর এই সংখ্যা ছিল আট হাজার ৪৬৯।