আবারও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল উত্তর কোরিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৩২ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘কৌশলগত অস্ত্র’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। জানানো হয়েছে এর গুরুত্বের কথাও।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এবং রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং তা সফল হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে যাওয়ার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে সে দেশের সংবাদমাধ্যমে।
গত কয়েক বছরে বিভিন্ন পরমাণু অস্ত্রের প্রদর্শনীর জেরে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল কিম জং উন শাসিত উত্তর কোরিয়ার। তার পর বেশ কিছু দিন অস্ত্র প্রদর্শনী দেখা যায়নি কোরিয়ার তরফে। সম্প্রতি এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আমেরিকা।
আমেরিকার এক কম্যান্ড্যান্ট এ নিয়ে বলেছেন, ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস্ রিপাবলিক অব কোরিয়া (ডিপিআরকে) সামরিক সম্ভার বাড়ানোর কাজে এখনও রত। প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক মহলের কাছে যা নতুন সমস্যা তৈরি করছে।’
সাম্প্রতিক এই ক্ষেপণাস্ত্রকে কৌশলগত অস্ত্র বলে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া। এই ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কিলোমিটার পাড়়ি দিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার সেনাবাহিনীর যৌথ অনুশীলনের জবাব হিসেবেই উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল বলে মনে করা হচ্ছে।
১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই উত্তেজনায় সব সময় সিউলের পাশে থেকেছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে ২০১৮ সালের এপ্রিলে পানমুনজামে দুই দেশের শীর্ষ নেতা বৈঠকে মিলিত হলেও আসেনি কোনো সমাধান।
ওই বৈঠকে দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনা কিছুটা কমলেও পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু কর্মসূচি ও সিউলের সামরিক মহড়া পুনরায় দুই দেশের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক দেখা দেয়। বন্ধ হয়ে যায় হটলাইন। দীর্ঘ এক বছর পর দুই দেশের মধ্যে ফের হটলাইন চালুর ঘোষণা দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। ওই পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনের খবরে ফের দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কোরিয়া সংকট সমাধানে ট্রাম্প আলোচনার পথে হাঁটলেও আপাতত সেই পথে যাচ্ছে না বাইডেন প্রশাসন।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।