মন্ত্রিসভায় নারী না রাখায় আফগানিস্তানে বিক্ষোভ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৫৬ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪০ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
আফগানিস্তানে তালেবানের নতুন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসেছে, সেই মন্ত্রিসভায় কোনো নারী নেই। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন আফগান নারীরা। দেশটির রাজধানী কাবুল ও বাদাখশান প্রদেশে এই বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, তাঁরা এই সরকার মেনে নেবেন না। কারণ, এই সরকারের মন্ত্রিসভায় কোনো নারী প্রতিনিধি নেই।
এদিকে স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পেটানো হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এতিলাতরোজরের খবরে বলা হয়েছে, এই বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে এবং তাঁদের আটক করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় কোনো মন্তব্য করেনি তালেবান। তবে এর আগেই তারা সতর্ক করে বলেছিল, এমন বিক্ষোভ অবৈধ।
তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিক্ষোভ করতে হলে অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া বিক্ষোভে যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয়, তা অপমানজনক। এমন শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছিল তালেবান।
তলেবান সরকারের মন্ত্রিসভা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলও সমালোচনা করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষা করতে পারেনি। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে, তালেবান যে অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে, সেই মন্ত্রিসভায় অনেকে রয়েছেন, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত।
মঙ্গলবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তলেবান। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারকে। তিনি তালেবানের প্রয়াত নেতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বারাদার।
তালেবানের এই সরকারের আরেক উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল সালাম হানাফি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমির খান মুক্তাকির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাখা হয়েছে মোহাম্মদ ইয়াকুবকে। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে ইয়াকুব এত দিন এই গোষ্ঠীর সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় থাকা হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে।
নবগঠিত সরকারের আইনমন্ত্রী করা হয়েছে আবদুল হাকিম শারিকে। সীমান্ত ও উপজাতিবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লা নুরুল্লাহ নুরকে। এ ছাড়া তালেবান সরকারের গোয়েন্দা শাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোল্লা আবদুল হক ওয়াসিককে।