গাজায় শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ করেছে ইসরাইল- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:৫৬ পিএম, ১২ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪০ পিএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ফিলিস্তিনের গাজায় গত মে মাসে ১১ দিন ধরে লড়াই হয়েছিল হামাসের সাথে ইসরাইলি সেনাদের। তার দুই মাস বাদে রিপোর্ট প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। যেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি ‘যুদ্ধাপরাধ’ বা ‘ওয়ার ক্রাইমে’র অভিযোগ তোলা হলো।
হামাসের বিরুদ্ধেও অবশ্য একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগস্টে হামাসের বিষয়ে একটি আলাদা রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে প্রথম গোলমাল শুরু হয় হামাস এবং ইসরাইলের মধ্যে। সে সময় গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইসরাইলের সেই বিমান হামলা নিয়ে এর আগেও অনেক বিতর্ক হয়েছে। হামলায় গাজা উপত্যকায় অবস্থিত সংবাদ সংস্থার ভবনও সম্পূর্ণ ভেঙ্গে গেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরাইলের অন্তত তিনটি বিমান হামলায় ৬২ জন সাধারণ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের সাথে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
মানবাধিকার সংস্থাটির প্রশ্ন, কেন ওই নিরপরাধ মানুষদের উপর আক্রমণ চালানো হলো? সংঘাতের গোড়া থেকেই ইসরাইল দাবি করছিল, গাজা উপত্যকায় শুধুমাত্র হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করেই তারা আক্রমণ চালাচ্ছে। এমনকী, সংবাদ সংস্থার ভবনটিও হামাসের ঘাঁটি বলে তারা দাবি করেছিল।
কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনটির বক্তব্য, অন্তত তিনটি বিমান হামলা শুধুমাত্র জনবসতির উপর হয়েছে। সেখানে কোনো হামাসের ঘাঁটি ছিল না। লোকালয়ে ওই হামলার ফলে ৬২ জনের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে নারী এবং শিশুও আছে।
পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে সংস্থাটি। তাদের বক্তব্য, ওই ১১ দিনে ইসরাইলের জনবসতি লক্ষ্য করে অন্তত চার হাজার রকেট ছুড়েছিল হামাস। যার ফলে ইসরাইলের সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হয়েছেন। আয়রন ডোম থাকায় বহু মানুষের প্রাণ বেঁচেছে। তবে হামাস নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট আগস্টে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
মানবাধিকার সংগঠনটির অন্যতম কর্মকর্তা গেরি সিম্পসন সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘ইসরাইলের আক্রমণে গাজা উপত্যকায় বহু অসহায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই। এটা শাস্তিযোগ্য যুদ্ধাপরাধ।’
ইসরাইল এবং হামাস কোনো পক্ষই এখনো পর্যন্ত সাম্প্রতিক রিপোর্টটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত যাবে।