কৃষক আন্দোলনে উত্তাল ভারত, গৃহবন্দি কেজরিওয়াল!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:০৭ এএম, ৯ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০২:২০ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ‘ভারত বন্ধ’ পালিত হয়েছে। তার মধ্যেই এদিন সকালে দিল্লি পুলিশের পক্ষে অরবিন্দ কেজরিওয়াল গৃহবন্দি করা হয় বলে অভিযোগ করে আম আদমি পার্টি (আপ)। তাদের অভিযোগ, কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই কেন্দ্রের নির্দেশ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। যদিও কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লিতে চার ঘন্টাব্যাপী চাক্কা জ্যাম শুরু হওয়ার আগে আজ মঙ্গলবার সকালে আপের টুইটার হ্যান্ডল থেকে কেজরিওয়ালকে গৃহবন্দি হওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হয়। লেখা হয়, ‘বিজেপির দখলে থাকা দিল্লি পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়ালকে গৃহবন্দি করেছে। কারণ সোমবারই সিঙ্ঘু সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন উনি। এখন বাসভবনে কারো প্রবেশ এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আসার অনুমতি নেই।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনেই রয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাই অমিত শাহর নির্দেশেই কেজলিওয়ালকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ আপ নেতৃত্বের। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। উত্তর দিল্লির ডিসিপি অ্যান্টো আলফোনসে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করা হয়নি। ওনার বাসভবনের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে মাত্র, যাতে আপের সাথে অন্য কোনো দলের সংঘর্ষ না বাধে।’
কিন্তু পুলিশের যুক্তি খারিজ করেছে আপ। তাদের অভিযোগ, রাজধানীর তিন মেয়রকে কেজরিওয়ালের বাসভবনের সামনে নিয়ে হাজির হয়েছে পুলিশ। তাদের দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিক্ষোভ করানো হচ্ছে, যাতে মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দি করার পিছনে যুক্তি সাজানো যায়। সেই মতো ব্যারিকেড দিয়ে বাসভবনের সামনের অংশটুকু ঘিরে ফেলা হয়েছে। পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত কর্মসূচিও বাতিল করা হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে কেজরীর বাড়ির সামনে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। তার বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
গত ২৩ দিন ধরে রাজধানী দিল্লি এবং সংলগ্ন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্তে কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্ঘু সামানীয় আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান কেজরিওয়াল। তবে তা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপির তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, আইন চালু হওয়ার পর তা কার্যকর করতে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে দিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। কিন্তু হাওয়া অন্যদিকে বইতে দেখে অবস্থান পাল্টে ফেলেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, পাঞ্জাবে দলের ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখেই কৃষকদের প্রতি লোক-দেখানো দরদ দেখাতে ছুটে গিয়েছেন তিনি।