ইসরাইলি ট্যাংকারে হামলা, ইরানকে দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:২৫ পিএম, ২ আগস্ট,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫৫ এএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
আরব সাগরে ইসরাইলি তেল ট্যাংকারে প্রাণঘাতী হামলায় পেছনে ইরান জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইরান আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে বলে উল্লেখ করে এর পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেছে দেশ দুটি।
এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি বৃহস্পতিবার ওমানের উপকূলে আক্রমণের শিকার হয়। হামলায় জাহাজের দুজন ক্রু নিহত হয়। যাদের একজন ব্রিটিশ ও অপরজন রোমানিয়ান নাগরিক।
এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, এই হামলায় ইরান এক বা একের অধিক ড্রোন ব্যাবহার করেছে। এই হামলাকে পরিষ্কারভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ইরানকে এসব হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাহাজ চলাচলে সুযোগ দিতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হুমকি দিয়ে বলেছেন এই হামলার পিছনে যে ইরান দায়ী এ ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী এবং এর জুতসই পাল্টা জবাব আসছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত রোববার বলেছেন এই হামলার জন্য যে তাদের চিরশত্রু ইরান দায়ী তেমন প্রমাণ রয়েছে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে এমন বিবৃতি এলো।
নাফতালি বেনেত হুমকি দিয়ে বলেন, আমরা জানি কিভাবে আমাদের মতো করে ইরানকে বার্তা দিতে হয়। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইরান যে ভুল করছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইরানকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয়া উচিত।
এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরাইলের শাসনব্যবস্থা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতা তৈরি করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অভিযোগের কোনো জবাব এখনো দেশটি দেয়নি।
ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে এক ধরনের অঘোষিত ছায়া যুদ্ধ চলছে যা এই ট্যাংকার হামলাকে ঘিরে আরো তীব্র হলো। মার্চ মাস থেকে ইসরাইল ও ইরান দুই পক্ষের জাহাজে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। এই হামলাগুলোকে প্রতিশোধমূলক বলে মনে করা হচ্ছে। ইরান অপরদিকে তাদের পরমাণু কেন্দ্র এবং সেখানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের ইসরাইল টার্গেট করছে বলে অভিযোগ করছে।
ভিয়েনাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে আলোচনা চলছে সেই পটভূমিতে নতুন করে আবার উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। এই আলোচনার মাধ্যমে ২০১৫ সালের একটি চুক্তিকে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
ইরান পারমানবিক বোমা তৈরি করছে, পশ্চিমা বিশ্বের এমন অভিযোগের জবাবে ইরান সবসময় বলে আসছে তার মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই কর্মসূচি পরিচালনা করছে।