ক্যাম্পে বাংলাদেশি নারী ধর্ষণের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য গ্রেফতার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৪৮ এএম, ৩১ জুলাই,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৮ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
বাংলাদেশি নারীকে গ্রেফতারের পর ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া বিএসএফ সদস্যের নাম রামেশ্বর কয়াল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারের পর গত বৃহস্পতিবার রামেশ্বর কয়াল এবং ওই দুই নারীকে বনগাঁ জেলার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। আদালত গ্রেফতার বিএসএফ সদস্যকে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ড দেন। বাংলাদেশের দুই নারীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ- তারা বেআইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন। তাই ১৪ ফরেনার্স আইনে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আর বিএসএফ সদস্যকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সকালেই বনগাঁর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ওই দুই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওই দুই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় বনগাঁ জেলার সরকারি হাসপাতালে।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় এক বাংলাদেশি নারী ও তার বান্ধবী দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফের হাতে আটক হন। গত বুধবার রাতে তাদের আটক করে বিএসএফ। আটকের পর ওই দুই নারীকে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফের সাব ইন্সপেক্টর রামেশ্বর কয়াল। তার নির্দেশে বিএসএফ সদস্যরা অভিযুক্ত দালালকে ধরতে অভিযানে বের হন। সে সময় ক্যাম্পে অবস্থানকারী রামেশ্বর কয়াল এক নারীকে ধর্ষণ করেন এবং অন্য নারীকে শ্লীলতাহানি করেন। ধর্ষণের পর ওই দুই নারীকে ছেড়ে দেন রামেশ্বর কয়াল। ছাড়া পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার গাইঘাটা থানায় এসে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন ওই দুই নারী। গাইঘাটা থানার পুলিশ গত বৃহস্পতিবারই অভিযুক্ত রামেশ্বর কয়ালকে গ্রেফতার করে।
এই দুই নারীর বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়। তিন বছর আগে তারা কাজের জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে গুজরাটে যান। সেখানে তারা কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। গত ঈদে তারা বাংলাদেশে ফেরার উদ্যোগ নেন। পরিকল্পনা করেন এবার ঈদের আগেই তারা বেআইনি পথে ফিরে যাবেন দেশে। তারা দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার উদ্যোগ নেন। দালাল তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ভারতীয় রুপি দাবি করেন। তাতে রাজি হয়ে যান ওই দুই নারী। কিন্তু দালালেরা জানান, ঈদের কারণে সীমান্ত পথে কড়াকড়ি। তাই ঈদের পরপর তাদের পাঠানো হবে বাংলাদেশে।