চীনে অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ২৫ জুলাই,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জিলিন প্রদেশে একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরও ১২ জন।
গতকাল শনিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে প্রদেশের চ্যাংচুন শহরে এ ঘটনা ঘটে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানতে তদন্ত চলছে। ঘটনাস্থলের কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে সিনহুয়া। সেখানে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবনটির বাইরে অগ্নিনির্বাপণকর্মীরা মই ও ক্রেন ব্যবহার করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
চীনে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এর পেছনে রয়েছে নানা কারণ। দেশটিতে ভবন নির্মাণের নীতিমালাগুলো অতটাও কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয় না। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অবৈধ ভবন নির্মাণও। ফলে বাসিন্দাদের সুরক্ষার বিষয়টি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। নীতিমালার বাইরে গিয়ে নির্মাণ করা এসব ভবনের বাসিন্দারা আপত্কালীন সময়ে নিরাপদে সরে যেতে সমস্যার মুখে পড়ে।
এসব কারণে চীনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি বছরের জুনেই হেনান প্রদেশে একটি স্কুলে আগুন লেগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল শিশু এবং ওই স্কুলের শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার তদন্ত শেষে জানা যায়, স্কুল ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বাধ্যতামূলক পরিদর্শনগুলো সঠিকভাবে করা হয়নি।
এর আগে ২০১৭ সালে রাজধানী বেইজিংয়ে দুই অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে প্রথম আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে সে বছরের নভেম্বরে। ওই অগ্নিকাণ্ডে ১৯ জনের মৃত্যুর পর শহরে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক ভবন ভেঙে ফেলা হয়। ২০১০ সালেও দেশটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সে বছর সাংহাইয়ে ২৮ তলা একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়।