করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে রাশিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৪১ এএম, ৬ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৫৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী মস্কোয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের এই টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এবং কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করেই গত আগস্টে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য ‘স্পুটনিক ভি’ নামের টিকার লাইসেন্স দেয় রাশিয়া। এখন সেটির ব্যবহারও শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির
টিকাটির নির্মাতারা বলছেন, এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এবং বড় ধরনের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এখনও টিকাটির গণ-পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়নি।
এই সপ্তাহেই টিকার প্রথম দুইটি ডোজ পাওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে রাশিয়া মোট কত টিকা তৈরি করতে পারবে, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
এই বছরের শেষ নাগাদ টিকাটির উৎপাদকরা ২০ লাখ টিকা তৈরি করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, স্কুল, স্বাস্থ্যসেবা আর সমাজকর্মীদের আগে টিকাটি দেওয়া হবে। তবে যত টিকা আসতে থাকবে, এই তালিকা তখন আরও বড় হতে শুরু করবে।
এসব পেশার বাসিন্দারা অনলাইনে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শহরের ৭০টি স্থানে টিকা দেওয়ার জন্য বুকিং দিতে পারবেন।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৭৩০ জনের।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মস্কোর বাসিন্দারা। মস্কোতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
কিছুদিন আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।
তবে অনুমোদন দেওয়া হলেও জনগণের মধ্যে এখনও টিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু হয়নি।