বিশ্বে হতদরিদ্র বেড়েছে ৪০ শতাংশ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬:৩৯ এএম, ৩ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০১:৩৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনাভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে বিশ্বজুড়ে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বেড়েছে, যাদেরকে জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্যের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর রয়টার্স। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা মার্ক লোকক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে মার্ক লোকক বলেন, ২০২১ সাল থেকেই হতদরিদ্র মানুষগুলোর সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে। তাদের সহায়তা দিতে জাতিসংঘের দরকার হবে তিন হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার।
তিনি আরও বলেন, হতদরিদ্ররা সবাই যদি একটি দেশে বাস করতেন তাহলে সেটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হতো। এদিকে জাতিসংঘ ২০২১ সালে ৫৬ দেশে মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দিতে ৩৪টি পরিকল্পনা করেছে। সংস্থাটি এর মাধ্যমে ১৬ কোটি মানুষের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্ক লোকক।
জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বে প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি মানুষকে ক্ষুধা, যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
লোকক বলেন, জাতিসংঘ হতদরিদ্রদের দুই-তৃতীয়াংশের কাছে পৌঁছাতে চায়। বাকিদের জন্য রেড ক্রসের মত অন্যান্য দাতব্য সংস্থা সহায়তার চেষ্টা করবে।
তিনি জানান, ২০২০ সালে দাতা দেশগুলো রেকর্ড এক হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার দান করেছে। যা দিয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তবে ২০২১ সালের জন্য জাতিসংঘের দরকার তিন হাজার ৫০০ কোটি (৩৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। এটি নিঃসন্দেহে বিশাল অংকের। কিন্তু ধনী দেশগুলো তাদের জনগণকে মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে যে পরিমাণ ব্যয় করছে তার তুলনায় এই অর্থ খুবই সামান্য।
এদিকে বাংলাদেশে সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ হয়েছে ২০১৭ সালে। সেই জরিপ অনুযায়ী, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। আর তাঁদের মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ। দুই সংখ্যার মধ্যে বিয়োগ দিলেই পাওয়া যায় বেকারের সংখ্যা। আর সেটি হলো ২৭ লাখ। আর শতাংশ হিসাবে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
কোভিড-১৯–এর কারণে অর্থনীতি বিপর্যস্ত। গত মার্চের শেষ দিক থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অর্থনীতি কার্যত অচল হয়ে গেলে বহু মানুষ কাজ হারান। অর্থনীতি আবার সচল হলেও অনেকেই কাজ ফিরে পাননি। তারপরেও সরকারি হিসাবে বেকারের সংখ্যা ২৭ লাখই থাকবে।