প্রেসিডেন্ট খুন, হাইতিতে জরুরি অবস্থা জারি, ৪ সন্দেহভাজন নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:০৩ পিএম, ৮ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:১৬ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মোইজকে হত্যার পর দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সন্দেহজনক চার ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। আরো দু’জনকে আটক রাখা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো জড়িতদের খুঁজে পেতে পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে। পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস বলেছেন, ঘাতকদেরকে হত্যা করতে হবে অথবা আটক করতে হবে। তাদের ধারণা, ঘাতক গ্রুপের অন্যরা রাজধানী শহর পোর্ট অ-প্রিন্সে লুকিয়ে আছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে আরো বলা হয়, বুধবার খুব ভোরে নিজের বাসভবনে প্রেসিডেন্ট মোইজ (৫৩) ও তার স্ত্রী ও ফার্স্টলেডি মার্টিন মোইজকে গুলি করে হামলাকারীরা।
এতে নিহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোইজ। আহত হয়েছেন তার স্ত্রী। অজ্ঞাত অস্ত্রধারীরা পোর্ট-অ-প্রিন্সে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে প্রবেশ করে। তারা এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে প্রেসিডেন্টকে। আহত ফার্স্টলেডি মার্টিনকে দ্রুত আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার দিনশেষে টেলিভিশনে দেয়া এক বিবৃতিতে পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস বলেছেন, চার দুর্বৃত্তকে আমরা হত্যা করেছি। দুজনকে আটক করেছি। তারা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন তিনজন পুলিশ সদস্যকে জিম্মি করা হয়েছিল। তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সব রুট বন্ধ করে দিয়েছি। তারপর থেকেই তাদের সঙ্গে আমাদের গুলি বিনিময় হচ্ছিল।
ওদিকে প্রেসিডেন্টকে হত্যার পর দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ক্লাউডি জোসেফ। তিনি দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এর অধীনে বড় কোনো সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
হাইতির এই হত্যাকে ‘ভয়াবহ এক হত্যা-’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একে জঘন্য হত্যা- বলে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশটির জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
২০১৭ সালে জোভেনাল মোইজ হাইতির প্রেসিডেন্ট হন। সাম্প্রতিক সময়ে তার পদত্যাগ দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। অভ্যুত্থান, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ব্যাপক সংঘবদ্ধ সহিংসতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ দেশটিকে দশকের পর দশক ঘিরে ধরেছে। এর ফলে তারা ওই অঞ্চলে সবচেয়ে গরিব দেশে পরিণত হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জোভেনাল মোইজের ঘাতকরা ছিল বিদেশি। তারা ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলেছে বলে বলা হচ্ছে। কারণ, হাইতির সরকারি ভাষা হলো ক্রেওলি এবং ফ্রেঞ্চ। কেউ কেউ বলেছেন, হামলাকারীরা কালো পোশাকে ছিল। তাদের হাতে ছিল উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অস্ত্র।