অবৈধ ভোটের খোঁজ পেয়েছি, দুই অঙ্গরাজ্যে আইনি লড়াই চলবে-ট্রাম্প
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৪৩ এএম, ৩০ নভেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৩৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইসকনসিন ও পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনার পরও সেখানে ভোটের ফল চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন তিনি। এই অঙ্গরাজ্যে জো বাইডেন যে ব্যবধানে জিতেছেন তার চেয়েও বেশি সংখ্যায় ভোটে গড়বড় রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ফক্সনিউজ এসব কথা জানিয়েছে।
আজ রবিবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনা হচ্ছে ভুল ভোট খুঁজতে নয়, সেখানে মূলত অবৈধভাবে দেয়া ভোট শনাক্তের কাজটি হচ্ছে। এটি শেষ হলে সোমবার অথবা মঙ্গলবার আমরা মামলা করব। প্রচুর অবৈধ ভোটের খোঁজ পেয়েছি। সঙ্গেই থাকুন! তবে ট্রাম্পের আগের অনেক টুইটের মতো আজকের টুইটকেও ‘বিতর্কিত দাবি’ বলেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
উইসকনসিনে ভোট পুনর্গণনার পর সেখানকার মিলওয়াওকি কাউন্টিতে জো বাইডেনের ভোট বেড়েছে ১৩২টি। এই মিলওয়াওকি ও আরেকটি কাউন্টিতে ভোট পুনর্গণনা করাতে ট্রাম্প ত্রিশ লাখ ডলার করে ফি দিয়েছেন। অন্যদিকে অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ডেইন কাউন্টিতে অবশ্য ট্রাম্প ৬৮টি ভোট বেশি পেয়ে বাইডেনকে পেছনে ফেলেছেন। অঙ্গরাজ্যটিতে মঙ্গলবারের মধ্যে ভোটের ফল স্বীকৃতি জানানোর কথা রয়েছে। যদিও রক্ষণশীল উইসকনসিন ভোটার অ্যালায়েন্স তা বন্ধ করতে মামলা দিয়ে রেখেছে। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে প্রায় ২০ হাজার ৬০০ ভোটে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে বাইডেন। এখানেই আইনি লড়াই চালিয়ে শেষ দেখতে চাইছেন ট্রাম্প।
এদিকে পেনসিলভানিয়ায় ভোট জালিয়াতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে একটি আদালত। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় ট্রাম্প বলেছেন, তিনি জালিয়াতি প্রমাণ করতে পারবেন। টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘পেনসিলভানিয়ায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বহু প্রমাণ রয়েছে আমাদের হাতে। কিছু মানুষ এটা দেখতে চাইছে না। তারা আমাদের দেশটাকে রক্ষায় কিছুই করতে চায় না। দুঃখজনক!!!’
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ৮১ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন এর চেয়ে বেশি জালিয়াত ভোটের প্রমাণ তার কাছে আছে।