আলফাডাঙ্গায় পাটের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা, বৃষ্টি না হওয়ায় অধিক খরচ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৫ মে,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৩১ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বাংলাদেশের স্বর্ণসূত্র নামে অবিহিত সোনালী আঁশ (পাটের) বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। রাষ্ট্রের উন্নয়নে এই আলফাডাঙ্গা থেকে বেশির ভাগ পাট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয়ে থাকে।
তবে এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ খরার কারনে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় বার বার সেচ দেয়ায় অধিক খরচ হয়েছে ফলে হতাশায় রয়েছে আলফাডাঙ্গার পাট চাষের উপর নির্ভরশীল কৃষকরা। গত বছরের মত সঠিক দাম না পেলে কৃষকদের পথে বসার আশংঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহানুর রহমান দিনকালকে জানান উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ, স্থানীয় ইউপি সদস্য, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে ২হাজার ৫শ জন কৃষকের মাঝে ২৫শ কেজি তোশা ও-৯৮৯৭ এবং রবি-১ নামের উন্নত জাতের পাটবীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
এ বছর আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ৪৯হাজার, ১৭৫বিঘা জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত বছর ৭০ ভাগ কৃষক পাট চাষ করেছিলেন এ বছর প্রায় ৯০ভাগ কৃষক পাট চাষ করেছেন। যা বিগত বছরের তুলনায় ২০ভাগ বেশি।
গত বছর বিঘাপ্রতি উৎপাদন হয়েছিল সাড়ে ৭ মনের কিছু বেশি এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ মন পাট উৎপাদন হলে প্রায় ৫ লাখ, ৯১ হাজার, ৭৫০ মন পাট এ উপজেলায় উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাট উৎপাদক কৃষকদের মধ্যে খোলাবাড়িয়া গ্রামের যবু শেখ ৭ বিঘা, নজরুল ইসলাম ১০ বিঘা লুৎফার রহমান ১০ বিঘা, তাহাজ্জেত ৫ বিঘা, ইমান চৌধুরী ৬ বিঘা, আসাদ মোল্যা ১০ বিঘা, পাড়াগ্রামের রমজান মোল্যা ৬ বিঘা, যহুর মোল্যা ৭ বিঘা, আকুবর মোল্যা ৮বিঘা, চর খোলাবড়িয়ার জাকির মিয়া ৮বিঘা, পবনবেগের হাফিজার মোল্যা ১০ বিঘা, হাফিজার শেখ ৯ বিঘাসহ অনেকেই পাট চাষ করেছেন এদের মধ্যে বেশির ভাগই বর্গাচাষী।
খোলা বাড়িয়া গ্রামের বর্গাচাষি যবুশেখ বলেন গতবছর পাটের ভাল দাম পেয়েছি এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় বার বার সেচ দিতে খরচ বেশি পড়েছে। আশা করছি ফলন ভাল হবে। সরকারের কাছে আলফাডাঙ্গার পাট চাষিদের প্রানের দাবী বর্গাচাষিদের কথা ভেবে সঠিক ভাবে পাটের মূল্য নির্ধারণ করে এ ক্ষতি পূরন করবেন।