নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:২৭ এএম, ২৮ মার্চ,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
ক্রমেই চড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। রোজার আগে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ছে। বাড়ছে মাছ-মুরগি ও সবজির দামও। আলু-পেঁয়াজের দাম সেই যে বেড়েছে আর কমার কোনো আশা নেই। পাস্তুরিত দুধের দাম ইতিমধ্যে লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে। রোজায় এসব পণ্যের দাম কততে গিয়ে দাঁড়ায় তাই নিয়ে সবাই এখন থেকেই চরম দুশ্চিন্তায়। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুরগির গোশতের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বৃহস্পতিবারের চেয়ে কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আর অন্যান্য মুরগির গোশত কেজিতে ২৫-৩০ টাকা বেড়েছে একদিনের ব্যবধানে। পেঁয়াজ ও আলুর দাম সেই আগের মতোই আছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। মানিকনগরের ব্যবসায়ী আবুবকর বলেন, পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে; কিন্তু আলুর দাম সেই আগের মতোই আছে। সবজির দাম এখন বেশ চড়া। গত সপ্তাহ থেকেই সবজির মূল্য বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, লতি ৭০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, সজনে ২০০ থেকে ২২০ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ২০-২৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকায়, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, খিরাই ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। ইন্ডিয়ান ও চায়না রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা, দেশি রসুন ৭০-৮০ টাকা, দেশি আদা ৬৫-৭০ টাকা এবং চায়না আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেজি পাওয়া যাচ্ছে। চালের বাজার আগের মতোই আছে। সেই যে বেড়েছে দাম আর কমেনি। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ টাকায়, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, স্বর্ণা চাল ৪৮ টাকায়, পোলাওয়ের খোলা চাল ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম এখনো কমই আছে। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। কোনো কোনো ডিম ১৪টি মিলছে এক শ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর গোশত। আর খাসির গোশত মিলছে ৮৫০ টাকায়। বকরির গোশত পাওয়া যায় ৭০০-৭৫০ টাকায়। মাছের দাম বাজারভেদে এবং মাছের মানভেদে কমবেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে গড়ে মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে একাধিক ক্রেতা জানান। নুরে আলম নামের এক ক্রেতা বলেন, এখন ছোট সাইজের নদীর চিংড়ি কিনতে হচ্ছে ১০০০-১১০০ টাকা কেজি। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশি মাছের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে গড়ে ৫০ টাকা বেড়েছে। শুধু চাষের মাছই এখন নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা বলে নুরে আলম বলেন।