বছরের প্রথম দিনেই দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১৭ পিএম, ১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:১০ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নিত্যপণ্যের দামের বর্তমান লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। গরিব আছে সংকটে আর মধ্যবিত্তরা দিশেহারা। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে পাচ্ছে না। নতুন বছরেও নেই কোনো পরিবর্তন।
নতুন বছরের প্রথম দিনেই রাজধানীতে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহে বোতলের সয়াবিন তেল, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ, দেশি হলুদ, জিরা, দারুচিনি, ধনে ও তেজপাতার দাম বেড়েছে। বিপরীতে বছরের প্রথম দিন আটা ও ময়দার দাম কমার পাশাপাশি গত এক সপ্তাহে ফার্মের ডিম, দেশি আদা, দেশি রসুন, আলু, পাম অয়েল এবং চালের দাম কমেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
টিসিবি জানিয়েছে, রবিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ানবাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মিরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এ তথ্য দিয়েছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জানুয়ারি লুজ (খোলা) সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এতে এক লিটার লুজ সয়াবিন তেলের দাম হয়েছে ১৬৭ থেকে ১৮০ টাকা, যা আগে ছিল ১৬৭ থেকে ১৭০ টাকা। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ( টিসিবি)-এর দেয়া তথ্যমতে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ভোজ্য তেল হিসাবে সয়াবিন তেলের দাম ছিল প্রতি লিটার ১০৪ টাকা। সেই সয়াবিন তেল এখন কিনতে হচ্ছে ১৬৭ থেকে ১৮০ টাকায়। অপরদিকে ১ জানুয়ারি খোলা আটার দাম কমেছে ৪ শতাংশ। এতে এক কেজি খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
এ ছাড়া খোলা ময়দার দাম ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকা, যা আগে ছিল ৭০ থেকে ৭২ টাকা। আর প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ১ দশমিক ২১ শতাংশ। এটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮৫ টাকা, যা আগে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস), পিপিআরসি ও সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর গবেষণা ও জরিপে দেখা গেছে, করোনাকালে দেশে দরিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায়। তাদের মতে, দারিদ্র্যের এই হার করোনাপূর্ব ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে। যদিও সরকার বারবারই বলছে, এ হার অনেক কম। কিন্তু সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) কাছে এর সমর্থনে কোনো তথ্য নেই।