বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ২৫ বিলিয়ন ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ৩০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:৩৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সংকট মোকাবিলায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ধারাবাহিকভাবে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে আজ বুধবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (৩ হাজার ৩৮৬ কোটি)। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদ-ে হিসাব করা হলে রিজার্ভ আরও ৮ বিলিয়নের মতো কম হবে। সে হিসাবে এখন প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলারের মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে রিজার্ভ কমে এই পর্যায়ে নেমেছে। ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে দেশের রিজার্ভ। এরপর গত বছরের আগস্টে ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার হয়। তারপর থেকেই গত কয়েক মাসে ধরে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।
এদিকে ডলারের খরচ কমাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে নতুন এলসি খোলা কমেছে। তবে বাকি বা দেরিতে পরিশোধের শর্তে আগের খোলা এলসির দায় এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমেনি। যে কারণে দিন দিন ডলারের সংকট বাড়ছে। চাপে পড়ছে অর্থনীতি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ৯৭ টাকা দামে প্রতি ডলার বিক্রি করছে। যদিও পণ্য আমদানিতে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলারের দাম নিচ্ছে ১০২ টাকা। প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম দিচ্ছে ১০৪ টাকা। আর রফতানি নগদায়নের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ধরা হচ্ছে ১০২ টাকা ৪৮ পয়সা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর সরকারের আমদানি দায় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ৭ কোটি ১০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিক্রির পরিমাণ ৬০৫ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রেকর্ড ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিনেছিল প্রায় ৭৯৩ কোটি ডলার।