নানা জটিলতায় পায়রা বন্দরের নির্মাণ ব্যয়-সময় বাড়ছেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫৬ এএম, ২ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:২৪ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গত এক দশকে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। ফলে দেখা দিয়েছে নতুন সমুদ্রবন্দরের প্রয়োজনীয়তা। যার পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর এটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন সরকারের ১০টি ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্পের একটি হওয়া সত্ত্বেও এটিকে পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। পায়রা বন্দর স্থাপনে চলমান দুটি প্রকল্পের মধ্যে একটির সময় ও ব্যয় বেড়েছে এবং অন্যটির বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। নানা জটিলতার মুখে পড়েছে প্রকল্প দুটির ভূমি অধিগ্রহণ, পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ। ফলে ভুগছে প্রকল্প দুটি। আমরা ২০১৯ সালে শুরু করেছি, কনসালট্যান্ট ও কন্ট্রাক্টর নিয়োগে এক বছর লেগেছে। তারপর ব্রিজ, জেটি, রাস্তা এগুলো ডিজাইন করতে লেগেছে আরও ছয় মাস। এভাবে দেড় বছর লেগে গেছে। সেই হিসাবে আমরা পেছাইনি। উল্লিখিত প্রকল্প দুটি হলো- ‘পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ এবং ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ প্রকল্প। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুটি প্রকল্পই বাস্তবায়ন করছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের জুনে। সেই সময়ের পর আড়াই বছরের বেশি অতিক্রান্ত হলেও এটির কাজ শেষ হয়নি। কয়েক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে সর্বশেষ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথমবার ঠিক করা মেয়াদের পর এ পর্যন্ত সময় বেড়েছে চার বছর। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, প্রকল্পটির এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৭২ শতাংশ (বাস্তব অগ্রগতি)। কেবল সময়ই নয়, প্রকল্পটির ব্যয়ও বেড়েছে তিনগুণ। পায়রা বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে এ প্রকল্পের মূল খরচ ছিল ১১ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার টাকায়। এখন পর্যন্ত টাকা খরচ হয়েছে মোট বরাদ্দের ৬২ শতাংশ (আর্থিক অগ্রগতি)। অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণকাজ। মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুসারে এটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। সে হিসেবে শেষ হওয়ার আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত অগ্রগতি ৯ শতাংশ মাত্র। ফলে এর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। বর্তমানে এ প্রকল্পের মোট খরচ ধরা হয়েছে তিন হাজার ৯৮২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এখন তা বাড়িয়ে করা হচ্ছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেতে পারে।
সময়-ব্যয় বাড়ছে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে : সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বরিশাল বিভাগের সবগুলো প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রকল্পগুলো সম্পর্কে অবহিত থাকতে এর আগে তিনি পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) থেকে পর্যবেক্ষণ নিয়ে গিয়েছিলেন। আইএমইডির সেই পর্যবেক্ষণে ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, ‘ঢাকায় বন্দরের একটি লিয়াজোঁ অফিস রয়েছে। প্রকল্প পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বেশিরভাগ সময় ঢাকায় অবস্থান করেন। মাঝে মাঝে প্রকল্প এলাকায় পরিদর্শনে যান। তবে টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকায় রয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এটা আন্দাজের ওপর লিখেছে। ভুয়া তথ্য লিখেছে। আমরা সবাই সাইটেই থাকি। আমাদের অফিসই এখানে। সুতরাং ঢাকায় থাকি এটা বলা যুক্তিসঙ্গত নয়। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বিষয়টি এড়িয়ে যান।
প্রকল্পের মেয়াদ ও সময় বাড়ানোর বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) সংশোধনের জন্য পাঠিয়েছি। একনেকে আগামী সপ্তাহে অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে। সংশোধনীতে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে। দেড় বছরের মতো সময় বাড়ানো হচ্ছে। আমাদের ডিজাইন, ড্রইং যখন করা হয়েছে তখন জেটি, ইয়ার্ড, ব্রিজ এই উপাদানগুলোর মধ্যে ব্রিজে, ডিজাইনে টাকা বেড়েছে। এটার টেন্ডার এখনো আমরা করিনি। সড়ক ও মহাসড়ক এটার টেন্ডার করবে। এতে ৪০০ কোটি টাকার মতো বাড়বে। প্রকল্পের মোট খরচ এখন সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
সময় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কনসালট্যান্ট নিয়োগ করতে আমাদের ছয় মাসের মতো সময় লেগেছে। এ সময় ডিপিপিতে ধরা ছিল না। তারপর টেন্ডার করে কন্ট্রাক্টর নিয়োগ করতে আবার ছয় মাসের মতো সময় লেগেছে। এই দুটি কাজেই এক বছর চলে গেছে। এগুলো ডিপিপিতে ধরা ছিল না। আমরা ২০১৯ সালে শুরু করেছি, কনসালট্যান্ট ও কন্ট্রাক্টর নিয়োগে এক বছর লেগেছে। তারপর ব্রিজ, জেটি, রাস্তা এগুলো ডিজাইন করতে লেগেছে আরও ছয় মাস। এভাবে দেড় বছর লেগেছে। সেই হিসাবে আমরা পেছাইনি। কনসালট্যান্ট নিয়োগ, কন্ট্রাক্টর নিয়োগ ও ডিজাইন করায় দেড় বছর চলে গেছে।
প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সময় কী বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হয়নি, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ডিপিপি প্রণয়নের সময় হিসাবে ধরে নাই। ডিপিপি প্রণয়নের সময় ছয় মাস ধরেছে ডিজাইন, আড়াই বছর ধরেছে কাজ; অর্থাৎ তিন বছর। যেভাবে কাজ চলছে, আমার মনে হয় কাজ যথাসময়েই (২০২৩ সালের জুন) শেষ হবে। দেরি হবে না।
প্রকল্পের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে নাসির উদ্দিন বলেন, দুটার কাজ চলছে। একটার চুক্তি হয়েছে ২০২০ সালের জুনে, আরেকটার জুলাইয়ে। সেই হিসাবে কাজের অগ্রগতি ভালো। চাইনিজরা আসছে, কাজ শুরু করছে। একটার পাঁচ মাস, আরেকটার ছয় মাস শেষ হয়েছে। এই সময়ে জেটি নির্মাণ অগ্রগতি ১২ শতাংশ, ইয়ার্ড নির্মাণের অগ্রগতি সাড়ে ১০ শতাংশ। এই দুটিরই আর্থিক অগ্রগতি ১০ শতাংশ।
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, দেখে এসেছি। পুরোদমে কাজ চলছে। এটা ভালো লেগেছে। কাজে আমরা কোনো গাফিলতি দেখিনি। বরিশালে পরিকল্পনামন্ত্রীর পরিদর্শনে এটা আরও বেশি চাঙ্গা হয়েছে।
আইএমইডি সচিব আরও বলেন, বাঁধের ওপর রাস্তা পুনর্নির্মাণের ৬০ শতাংশ বাস্তব অগ্রগতি আছে, এটা জুনে শেষ হবে। পরিদর্শনের সময় যতটুকু দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে কাজটা হয়ে যাবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ করার কথা আছে। আন্ধারমানিক নদীর ওপর সেতু নির্মাণের আগের দরপত্র বাতিল করে ১৯ জানুয়ারি পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। প্রকল্প চলাকালে পরামর্শক সেবা কোয়ারির তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এতে অগ্রগতি ভালো, প্রায় ৭০ শতাংশ। তাদের কাজ ছিল বিস্তারিত ড্রয়িং, ডিজাইন, ডকুমেন্টেশন করা। এগুলোর গড় করলে কাজের অগ্রগতি কমে যাবে। কারণ কয়েকটা কম্পোনেন্টে বাস্তব অগ্রগতি নেই। বাস্তব অগ্রগতি হলো সবমিলিয়ে প্রায় ৯ শতাংশ।
কিছু কিছু খাতে অগ্রগতি নেই বলে এমন হয়েছে। যেমন দুটি কার্গো কেনা, এখানে অগ্রগতি নেই। কারণ একবার দরপত্র দাখিল করার পর যাচাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দরপত্র ঠিক করা হয়েছে এবং পুনরায় আহ্বান করা হয়েছে। দুটি ওয়াল বুক ক্রয়ের মাত্র চুক্তি হয়েছে।
সূত্র জানায়, পায়রা বন্দরের মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে বন্দরের জন্য দুটি টার্মিনাল নির্মাণের লক্ষ্যে ছয়টি বার্থসহ কমপক্ষে দুটি টার্মিনাল নির্মাণ এবং ১০ দশমিক ৫০ মিটার গভীরতার চ্যানেল সংরক্ষণের পরিকল্পনা হাত নিয়েছে সরকার। এর আওতায় ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত নির্মিত হচ্ছে তিনটি বার্থসহ একটি টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক অবকাঠামো।
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে পায়রার অবকাঠামো নির্মাণ : বরিশালে বৈঠকের সময় ‘পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্পের বিষয়ে আইএমইডির পর্যবেক্ষণ হলো, প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম তুলনামূলকভাবে অনেকটা কম। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩ হাজার ৯৪ দশমিক ৯৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম।
পাশাপাশি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অগ্রগতিও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম। মোট চার হাজার ২০০ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৬৮৪ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ডিপিপির কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
২০১৫ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের বর্তমান আর্থিক অগ্রগতি ৬২ এবং বাস্তব অগ্রগতি ৭২ শতাংশ।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ও সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা সবাই খুব বেশি পরিমাণে নিজের স্বার্থটাকে বুঝি। দেশের স্বার্থ কেউ বুঝি না। এটা হচ্ছে এই দেশের মূল সমস্যা। প্রকল্প সামনে যাচ্ছে না। এর মানে দাঁড়াচ্ছে এই যে, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য যে পরিমাণ জনবল ডিসি অফিসে থাকা দরকার তা নেই। তারপরও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অনেক চেষ্টা করছেন। কেবল পায়রা বন্দরের নয়, ওই এলাকায় আরও অনেকগুলো প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এর পাশাপাশি কেউ কেউ একই ভূমির ওপর কেউ একবার, কেউ দুবার, কেউ কেউ তিনবার, কেউ কেউ চারবার অভিযোগ দায়ের করে যাচ্ছেন।
অভিযোগের পরে অভিযোগ যদি থাকে, তাহলে ডিসি সেখানে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না মন্তব্য করে ক্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান বলেন, সেই অভিযোগের আবার তদন্ত, আবার যৌথ তদন্ত, আবার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এগুলো করতে হচ্ছে। এটার সঙ্গে বাকি সব সম্পর্কিত। প্রশিক্ষণের কোনো সমস্যা নেই। বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো প্রশিক্ষণ কেউ কোথাও করেনি।
সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছিল কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের ফিজিবিলিটি স্টাডি হয়েছিল। এরপর এই প্রকল্পেরও হয়েছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণের তো ফিজিবিলিটি স্টাডি হয় নয়। দ্বিতীয়ত এ ধরনের সমস্যা তো আগে থেকে কেউ অনুমান করতে পারে না। কনসালট্যান্ট বা প্রশাসক বলতে পারবেন না যে, কী হবে। এটা হলো দেশের বাস্তবতা। বাকি সব ঠিক আছে।
তবে প্রকল্প এলাকা ঘুরে এসে ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আইএমইডি সচিব বলেন, অবকাঠামো প্রকল্পে ভালো অগ্রগতি আছে। ভূমি অধিগ্রহণ ছিল, সেটার ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বাস্তব অগ্রগতি ৬৮ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ৬৫ শতাংশ। এত সুন্দর ঘর করেছে, দেখে ভালো লাগবে। প্রশিক্ষণেরও ভালো অগ্রগতি আছে। সাতটি জাহাজ নির্মাণকাজের অগ্রগতিও ভালো। মাস্টার প্ল্যানিংয়েরও ভালো অগ্রগতি। সংযোগ সড়ক হয়ে গেছে। ওয়্যারহাউজ নির্মাণ হয়ে গেছে, প্রশাসনিক ভবন হয়ে গেছে, ড্রেজিংও সম্পন্ন। সামগ্রিক অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। এটার খুবই ভালো ভালো কাজ হয়েছে।