আমতলীতে কর্মব্যাস্ত দিন কাটাচ্ছে তরমুজ চাষিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৬ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:১১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বরগুনার আমতলী উপজেলার গ্রামাঞ্চলে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন তরমুজ চাষীরা। যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের। এ বছর আমতলীতে ২ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আমতলী, হলদিয়া, আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন, চাওড়া, কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরা ইতামধ্যে জমি চাষাবাদ করে বীজ বপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ বছর বীজের দাম গত বছরের তুলনায় একটু বেশি বাজারে এক কৌটা (১০০ গ্রাম) বিগ ফ্যামিলি ২৮০০ থেকে ৩০০০ হাজার টাকা জাগুয়া ২২০০ টাকা থেকে .২৫০০ শত টাকা ও এশিয়ান বীজ ১,৮০০ থেকে ২৫০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা, চন্দ্রা, হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর-দক্ষিণ রাওঘা, কুকুয়ার কৃষ্ণনগর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা মাঠে কাজ করছেন। তরমুজ বীজ বপনের জন্য জমিতে গর্ত তৈরি করছেন। এ কাজ করতে ঘরের নারী ও শিশুরাও বসে নেই। তারাও পুরুষের পাশাপাশি কাজ করছে।
হলদিয়ার টেপুরা গ্রামের হেলাল গাজী বলেন, আমি এ বছর ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। বীজের দাম বেশি থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেশি হবে।
আমতলী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর তরমুজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বেলে-দোআঁশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় আমতলীতে রসালো তরমুজ চাষ ভালো হয়। আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে তরমুজের ফলন ভালো হয়। এ বছর ওই ইউনিয়নের চাষিরা লোকসানের ভয়ে তরমুজ চাষ করছেন না।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, এ বছর তরমুজ চাষির সংখ্যা বেশি । আমতলী উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৫ শত কৃষক তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মত বড় ঘটনা না ঘটলে তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।