২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ১৬.০৭, ঘাটতি ২৮ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ৭ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:১৯ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সদ্য সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও বছর শেষে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকায়।
আজ রবিবার এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ তথ্য জানান। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পিছিয়ে আছি। ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমরা রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছি ৩ লাখ ১৬৩৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও আমাদের ওই প্রবৃদ্ধি অর্জন খুব খারাপ, তা বলব না। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। করনেট ও কর জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরের জুন পর্যন্ত এনবিআরের আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগে নির্ধারিত ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩ লাখ এক হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা ৮৪ লাখ টাকা। রাজস্ব আদায়ে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। তারপরও ঘাটতি ২৮ হাজার ৩৬৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের লক্ষ্য সবচেয়ে বেশি। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ২৮ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৪১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ঘাটতি ১৯ হাজার ৫৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
অন্যদিকে আয়কর ও ভ্রমণ করে লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা। এই খাতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৭৯১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এই খাতে সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ হলেও ঘাটতি থেকে মুক্তি মেলেনি। এই খাতে ঘাটতি ২ হাজার ২০৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এছাড়া, আমদানি শুল্কে ৯৬ হাজার কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৯ হাজার ৪২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এখানে ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাস (জুলাই-মে) শেষেও ৩৬ হাজার ৩১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি ছিল। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) রাজস্ব আদায়ে রেকর্ড ১৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এনবিআর। ওই বছরে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাময়িক হিসাবে আদায় হয় প্রায় ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ঘাটতি ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা।