কোরবানির ঈদকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:২০ পিএম, ৩ জুলাই,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৮ পিএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঈদুল আজহার আর মাত্র ৭ দিন বাকি। তাই দিনাজপুরের হিলির কামারপাড়ায় বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। শুরু হয়েছে টুংটাং শব্দ। নতুন নতুন দা-ছুরি-বঁটির পাশপাশি কোরবানির পশু কাটাকাটিতে ব্যবহৃত পুরাতন ছুরি-বঁটি মেরামতের কাজও চলছে দিন-রাত। তবে হিলির কামার পাড়ায় খুশির চেয়ে উদ্বেগই যেনো জায়গা দখল করেছে। কয়লা সঙ্কেট আর লোহা-ইস্পাতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ছাপ পড়েছে এ পেশায় জড়িতদের।
কামার তারাপদ বলেন, ‘কয়লার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এরই সঙ্গে বেড়েছে দা-বঁটি বানানোর লোহা আর ইস্পাতের দাম। ফলে এখন কাজ করে আগের মতো লাভ হচ্ছে না। আগে হোটেল, বাসা-বাড়ি থেকে কয়লা সংগ্রহ করা হতো। এখন হোটেল বা বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে গ্যাস ব্যবহার হয়। কয়লা পাওয়া তাই দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।
তিনি আরো বলেন, ইটের ভাটাগুলোতেও গ্যাস এবং কয়লা ব্যবহার হচ্ছে। আগে কাঠ বা খড়ি দিয়ে ভাটায় ইট পোড়ানো হতো। এজন্য কয়লা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।’
মিজান নামে অপর এক কামার বলেন, ‘বেশি দামে কয়লা কিনতে হচ্ছে। গত বছর এক টিন কয়লা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এবার তা কিনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।
হিলি বাজারের গোডাউন মোড়ের কামার শ্রী কৃষ্ণ কর্মকার বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির ঈদে মানুষ তেমন অর্ডার দিচ্ছে না। কাঁচা লোহা দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। তাই কোরবানির সরঞ্জাম স্বাভাবিকভাবেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
ছুরি-বঁটি ব্যবসায়ী শ্রী দিপু মহন্ত বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। মাংস কাটা দা আমরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা তরে বিক্রি করছি। আগে এই দাম ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। বড় চাকু ছিল ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এখন তার দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। বঁটি ছিল ২০০ টাকা, এখন সেই বঁটি বিক্রি হিচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া হাসুয়া ছিল ১৫০ টাকার পরিবর্তে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করছি।
আনিছুর রহমসন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘এ বছর দা, বঁটি, চাকোর দাম অনেক বেশি। কোরবানির পশু কিনেছি। তাই দাম বেশি হলেও সরঞ্জাম কিনতে হবে। হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দাম আবার কমে আসবে। হিলির ডাঙ্গাপাড়ার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় কামাররা সবকিছুর দাম বেশি চাচ্ছে। তাই গত বছরের বানানো দা, বঁটি আর চাকু কামারের কাছে ধার করতে নিয়ে এসেছি।