অর্থপাচারের কোনো তথ্য নেই : গভর্নর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১০ এএম, ১১ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৪২ এএম, ৩ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
সরাসরি বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার হয় এমন তথ্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। তিনি বলেন, তবে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থপাচার করে, এমন তথ্য আছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গভর্নর বলেন, আমার কাছে অর্থপাচারের তথ্য না থাকলেও অর্থমন্ত্রীর কাছে আছে। টাকার ধর্ম আছে, যেখানে টাকা সুযোগ-সুবিধা বেশি পায় সেখানেই টাকা চলে যায়।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকার একটা ধর্ম আছে, একটা বৈশিষ্ট্য আছে। টাকা যেখানে বেশি সুখ পায় সেখানে চলে যায়। টাকা কেউ শোকেসে করে পাচার করেন না। বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে পাচার হয়। সেই জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ব নিয়েই এ কাজটা করতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ তাদের পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দিয়েছে। বিশ্বে কখনো কখনো টাকা পাচার হয়ে যায়। টাকা পাচার হয় না এটা আমি কখনো বলিনি। কিন্তু কোনো তথ্য না দিয়ে বলা ঠিক না। পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে আমাদের কাছে তথ্য আছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং অনেকে জেলেও আছে।
এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রথা ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরের ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে সীমিত পরিসরের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এবারের বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের জন্য এটি ৫১তম বাজেট। পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০তম বাজেট হলেও ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সরকার টানা বাজেট দিয়ে যাচ্ছে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।