ব্যাংকগুলো ডলারের দাম নির্ধারণ করবে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:১৯ পিএম, ২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:১৮ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ডলারের বাজারে অস্থিরতার কারণে বাফেদা ও এবিবি’র সঙ্গে আলোচনা করে গত রোববার ডলারের দর নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বেঁধে দেয়া দরে রেমিট্যান্স আনা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ব্যাংকগুলো। তাই ব্যাংকগুলোকে নিজেদের মতো করে ডলারের দাম নির্ধারণ করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে, আনুষ্ঠানিকভাবে আগের বেঁধে দেয়া দাম তুলে নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, আগের যে রেট ছিল সেই রেটে মার্কেট চলছিল না বলেই বাফেদা ও এবিবি আমাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে। পরে পর্যালোচনা করে আমরা আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের দাম ৮৯ টাকা এবং আমদানিকারকদের পর্যায়ে ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করেছি। এখন তারা বলছে এই রেটে বাইরে থেকে রেমিট্যান্স আনা যাচ্ছে না। সেজন্য আমরা বলেছি মার্কেট অনুযায়ী যে পর্যায়ে দিলে বাইরে থেকে রেমিট্যান্স আনতে সমস্যা হবে না, এবং তারাও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেভাবে তাদেরকে নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। কারণ আমাদের মূল বিষয় হলো যারা রেমিট্যান্স আনেন তারাও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, রেমিট্যান্সও যেন আসে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, যেটা নির্ধারণ করেছিলাম সেটা তাদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেই করেছিলাম। এখন সেটা যদি মার্কেটে কার্যকর না হয় তাহলে আপনাদের (ব্যাংকগুলো) মতো করে দর নির্ধারণ করেন।
কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা তাদের কোনো প্রকার লিখিত দেয়নি। আমরা মৌখিকভাবে তাদের অবহিত করেছি, যাতে তারা মার্কেট কানেকশনটা করতে পারে।
ডলারের দাম বাড়তে থাকায় গত রোববার আমদানি, রপ্তানি ও আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম কত হবে, তা বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি বিল নগদায়নে ৮৮ টাকা ১৫ পয়সা, আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের দাম ৮৯ টাকা ও আমদানিকারকদের কাছে বিক্রিতে ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা দাম নির্ধারণ করে দেয়। আর প্রবাসী আয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ টাকা ২০ পয়সা দাম দিতে বলা হয়। তবে চলতি সপ্তাহে প্রবাসী আয় কমে যায়। পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও বিল নগদায়ন করছেন না। এরই প্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৯ টাকা) এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা। এ অংক আগের মাসের চেয়ে ১২ কোটি ৫৫ লাখ ডলার কম। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ কোটি ৫৭ লাখ ডলার কম। ফলে প্রায় ১৩ শতাংশ কমলো প্রবাসী আয়। গত এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ২০১ কোটি ৮ লাখ ডলার। আর গত বছর মে মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।