দুধসহ দুগ্ধজাত প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে মিল্ক ভিটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫০ পিএম, ২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৫৫ পিএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দুধসহ দুগ্ধজাত প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড—মিল্ক ভিটা।
গতকাল বুধবার (১ জুন) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস থেকে এ দাম কার্যকর হয়েছে।
মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষের দাবি, প্যাকেজিং সামগ্রী, গোখাদ্যসহ সহায়ক সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা দাম বাড়িয়েছে দুধ ও দুগ্ধজাত অন্যান্য পণ্যের। পাস্তুরিত তরল দুধ, টোল্ড মিল্ক, ফ্লেভার্ড মিল্ক, ঘি, মাখন, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধ, ননিবিহীন গুঁড়া দুধ, মিষ্টি দই, টক দই, রসগোল্লা, সন্দেশ, চিজ, কেকসহ ২২ ধরনের পণ্য বাজারজাত করে মিল্ক ভিটা। প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির সূত্র জানিয়েছে।
গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত তরল দুধে ৫ টাকা দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৮০ টাকা। আগে এর দাম ছিল ৭৫ টাকা। এ ছাড়া আধা লিটারের প্রতি প্যাকেট দুধের দাম ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। ২৫০ মিলিলিটারের প্যাকেটের দাম করা হয়েছে ২৫ টাকা। এত দিন এর দাম ছিল ২২ টাকা। তবে ২০০ মিলিলিটারের প্যাকেটের দাম ২০ টাকাই আছে বলে জানিয়েছেন মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. মইনুল হক চৌধুরী।
দুধের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে দুগ্ধজাত নানা পণ্যের দাম। প্রতি কেজি ঘিয়ের দাম হয়েছে ১ হাজার ৩২০ টাকা। এত দিন এর দাম ছিল ১ হাজার ১৮০ টাকা। এক কেজি মিষ্টি দইয়ের দাম হয়েছে ২১০ টাকা, আগে বিক্রি হতো ১৯০ টাকায়। এক কেজি টক দইয়ের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭৫ টাকা।
মিল্ক ভিটার মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) মইনুল হক চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘বাজারের আর সব ব্র্যান্ডের দুধের দাম আগে থেকেই বাড়ানো হয়েছে। গোখাদ্য, প্যাকেজিংয়ের মূল্য, পরিবহন খরচসহ সবকিছুতে খরচ বেড়েছে। তাই আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি।’
মইনুল হক চৌধুরীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এক লিটারের প্যাকেটের মূল্য আগে ছিল ২ টাকা ২০ পয়সা। এখন হয়েছে ৪ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষেত্রেও খামারিদের ২৫ শতাংশ খরচ বাড়ানো হয়েছিল। পণ্যের দাম বাড়ায় আগামী ১ জুলাই থেকে খামারিদের কাছে থেকে লিটারপ্রতি দুধ দুই টাকা বেশিতে কিনবে মিল্ক ভিটা, জানান মইনুল হক চৌধুরী।
গত ১৩ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মিল্ক ভিটার পণ্যের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়।