চালের দাম বৃদ্ধি নাভিশ্বাস স্বল্প আয়ের মানুষের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪২ এএম, ২৫ মে,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৩ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বাড়িয়েছে আমদানিকারকরা। গত এক সপ্তাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এই দাম বাড়ানো হয়।
আজ মঙ্গলবার নীলফামারী কিশোরগঞ্জ, সৈয়দপুর, জলঢাকা, নীলফামারী সদর উপজেলার পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের চালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। তবে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম। চাল কিনতে আসা মানিক বলেন, এক সপ্তাহে আগে যে দামে চাল কিনছি তার চেয়ে আজকে চালের দাম অনেক বেশি। বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে জিরাশাইল চাল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ২৪০০ টাকায়। মঙ্গলবার সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ২৬৭০ টাকায়। মিনিকেট সেদ্ধ ৫০ কেজির বস্তা ২৭৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০৮০ টাকা হয়েছে। দেশীয় স্বর্ণা সেদ্ধ চালের বস্তা ২০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২২৫০ টাকা হয়েছে। পাইজাম সিদ্ধ ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ২০০ টাকা বেড়ে ২৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল ব্যবসায়ী মাহাবুল ইসলাম বলেন, চিকন চাল প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা বেড়েছে। চিকন চালের মধ্যে জাতের চাল প্রতি বস্তা সাড়ে ৩ হাজার থেকে৩ হাজার ৭০০ টাকা দরে বেচাকেনা চলছে। মোটা চালের দাম বেড়েছে বস্তায় (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ৩০০ টাকা।’ চিকন চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। বোরা মৌসুমের ধান ঘরে উঠেছে। ধান-চালের ভরা মৌসুমে কেন বাড়ছে দাম- এমন প্রশ্নে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দুষছেন চালের ব্যবসায় যুক্ত দেশের শিল্প গ্রুপ এবং মিল মালিকদের। এ অবস্থায় হঠাৎ যদি চালসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে সীমিত ও দরিদ্র পরিবারে কী দুর্ভোগ সৃষ্টি হয় তা সহজেই অনুমান করা যায়। এ দুর্ভোগ দীর্ঘ সময় চললে এর অনিবার্য পরিণতি হিসেবে দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা পুষ্টিহীনতায় ভোগে, অনেক পরিবারের শিশুদের শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটে। কাজেই চালসহ নিত্যপণ্যের বাজারে যেন অস্থিরতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে, এটাই কাম্য।