এক যুগেও পাননি পানির সংযোগ, ৭৪ হাজার টাকার ভৌতিক বিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৫ এএম, ১৪ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:১০ এএম, ১১ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
এক যুগ ধরেও বাড়িতে পানির সংযোগ নিতে পারেননি। তবু ৭৪ হাজার ১২৫ টাকার এক ভৌতিক বিল পাঠিয়েছে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা। এ ঘটনায় পৌরসভা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এমন ঘটনা ঘটেছে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রহমতগঞ্জ মহল্লার ২ নং গলির বাসিন্দা আশরাফুল আলমের স্ত্রী ছালমা সিদ্দিকার বাড়িতে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ছালমা সিদ্দিকা অর্ধ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের একটি পানির সংযোগের জন্য আবেদন করেন। পরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্দেশে পানি সরবরাহ শাখায় (বিল নং ১৫১৯) ৫০০ টাকার সংযোগ ফি জমা দিলেও বাড়িতে মেলেনি সংযোগ। কিন্তু তারপর থেকে প্রতি মাসে পানির বিল আসতে থাকে বাড়িতে। ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ পৌরসভা বরাবর পানির লাইন চালুকরণসহ এবং পেছনের ভৌতিক বিল বাতিলের জন্য আরেকটি আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু পৌরসভার পানি সরবরাহ শাখা ২০২২ সালে এসেও বন্ধ করেনি ভৌতিক বিল দেয়া। এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ আবার নতুন করে অভিযোগ দাখিল করেন।
ভুক্তভোগী ছালমা সিদ্দিকা বলেন, এক যুগ ধরে সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় পানির লাইনের জন্য ঘুরতে ঘুরতে পায়ের স্যান্ডেল ক্ষয় হয়ে গেছে। মিটার দিলেও পানির সংযোগ পাইনি। অথচ আবেদন করার পর থেকে ভৌতিক বিল আসা শুরু করে পৌরসভা। বারবার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দাখিল করেছি, তবু পানি সরবরাহ শাখা থেকে পানির বিল আসা বন্ধ হয়নি। সবশেষ গত ২৭ জানুয়ারি পানির ভৌতিক বিল ৭৪ হাজার ১২৫ টাকা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। এ নিয়ে মেয়র বরাবর ভৌতিক বিল মওকুফসহ পানি সরবরাহ শাখার কর্মকতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ করি। কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।
ছালমা সিদ্দিকার স্বামী আশরাফুল আলম বলেন, পৌরসভায় পানির সংযোগের জন্য সংযোগ ফি প্রদান করি। বাড়িতে পানির সংযোগ না দিয়ে শুধু একটি পানির মিটার লাগিয়ে দেয়। একাধিকবার অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। মেয়রের কাছে দাবি, খুব দ্রুত ভৌতিক বিল মওকুফসহ বিল ইস্যুকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি। সিরাজগঞ্জ পৌরসভার বিল প্রদানকারী মো. রেজাউল করিম বলেন, এ-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। সংশোধনের সুযোগও রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে সমাধান করে দেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়ের সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, পানির লাইন না থাকলে বিল পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। কোনো নাগরিক যেন অযথা হয়রানি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। এ ছাড়া এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।