বিশ্ব বাজারে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:১২ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:৪৬ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ফের কমেছে। এ নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস নিম্নমুখী রয়েছে পণ্যটির বাজার।
বিশ্লেষকরা জানান, ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় দুই বাজার আদর্শের দামই কমে যায়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ রেকর্ড সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম দশমিক ২ শতাংশ বা ১৮ সেন্ট কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৯ ডলার ১৮ সেন্ট। অন্যদিকে, আইসিই ফিউচারসে আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম দশমিক ১ শতাংশ বা ৮ সেন্ট কমেছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৯০ ডলার ৭০ সেন্ট। তথ্য বলছে, পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে আবারো ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার গুঞ্জন উঠেছে। শিগগিরই ইরান জ্বালানি পণ্যটির সরবরাহ নিয়ে ফিরে আসবে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে, দাম কমলেও এখনো বিশ্ববাজারে পণ্যটির সরবরাহ সংকটের উদ্বেগ কাটেনি। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ কমেছে ২০ লাখ টন। অথচ প্রত্যাশা ছিল চার লাখ ব্যারেল বাড়ার।
অন্যদিকে, উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক। প্রতি মাসে চার লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়ানোর কথা থাকলেও কিছু দেশের সক্ষমতা কমে যাওয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না। চলতি মাসেও সীমিত আকারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন নীতিতে অটল রয়েছে ওপেক প্লাস। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি। সীমিত উত্তোলনের কারণে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশগুলোয়ও সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে ক্রমেই বাড়ছে জ্বালানি পণ্যটির দাম। ওপেকের মিত্র দেশগুলো নিয়ে গঠিত জোটটি ওপেক প্লাস নামে পরিচিত। বৈশ্বিক জ্বালানি তেল সরবরাহের ৪০ শতাংশই উত্তোলন করে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন এ জোট। মহামারির কারণে সৃষ্ট সরবরাহ সংকট কাটাতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও বেশ কয়েকটি দেশ জোটটিকে উত্তোলন বাড়ানোর আহ্বান জানায়। কিন্তু এসব আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বিদ্যমান নীতিতেই অটল রয়েছে জোটটি। জোটটি দাম বাড়ার পেছনে ব্যবহারকারী দেশগুলোকে দায়ী করছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে স্থানান্তরের কারণে শীর্ষ ব্যবহারকারী দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ কমিয়ে দিয়েছে।