দেশি পেঁয়াজের দামে ধস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ এএম, ৪ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়ায় দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত শনিবার ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে।
আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস হয়ে দেশের বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে। এদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় দেশি পেঁয়াজের দামে ধস নেমেছে একদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা। কয়েকদিন আগে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় এখন সে পেঁয়াজের দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকা।
গত শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ভারত থেকে ১৯ টন পেঁয়াজ বোঝাই একটি ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে বন্দর দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস পর পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স বাবু এন্টারপ্রাইজ এই পেঁয়াজ আমদানি করে। আজ রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেনি। তবে এরপর দুই ট্রাকে ৫৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়, হিলি স্থলবন্দরের রাইয়ান ট্রেডার্স এসব পেঁয়াজ আমদানি করে। আগামীকালও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতে পারে বলে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা নজরুল ইসলাম ও মুকুল হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, এখন পেঁয়াজ কিনছি ২৮ থেকে ৩০ টাকা। পেঁয়াজের এমন দাম কমায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশ সুবিধা হয়েছে। হিলি বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল খান ও শেরেগুল ইসলাম বলেন, দুদিন আগে পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করেছিলাম। ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি করবে এমন খবরে দেশি পেঁয়াজের দাম কমে যায়। একদিন পরেই সেই পেঁয়াজ দাম কমে ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। ভারত থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম আরও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৭ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় আমরা বন্দরের আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি করি। এছাড়া প্রতি টন পেঁয়াজ ২৫০ মার্কিন ডলার মূল্যে এলসি খুলেছি, তবে কেউ কেউ ২৭৫ মার্কিন ডলার মূল্যেও এলসি খুলেছে। সে মোতাবেক গতকাল শনিবার বন্দর দিয়ে দীর্ঘ সাড়ে ৩ মাস বন্ধের পর আমার একটি পেঁয়াজবাহী ট্রাক ১৯ টন পেঁয়াজ নিয়ে দেশে প্রবেশ করে। তবে দীর্ঘদিন পরে দেশে ভারত থেকে পেঁয়াজ ঢুকলেও পেঁয়াজের দাম সে তুলনায় কমেনি। ১৯ টনের মধ্যে ভালো ভালো কিছু পেঁয়াজ ৩০ টাকা বিক্রি করতে পেরেছি। আর বাকিগুলো ২৫ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে পেরেছি। আমার কিছু পেঁয়াজ ভারতের হিলিতে আসতে পৌঁছাতে পারে সেক্ষেত্রে ঢুকতে পারে আর যদি না পৌঁছায় তাহলে হয়তো বা আগামীকাল ঢুকতে পারে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত।