পঞ্চগড়ে করোনায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকলেও ব্যয় কোটি টাকার উপরে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে লুটপাট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা আর এই কাজটি হচ্ছে পঞ্চগড় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে।
অবাক করা বিষয় হলো করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে দেড় বছর বন্ধ, সেখানে ২০২০ জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত রাজস্ব খাতের আওতায় আপ্যায়নের নামে ৯৯ হাজার ৯৯০, ভ্রমন ব্যয় ২ লাখ ৫০ হাজার, মেরামত ও সংরক্ষণ ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৬৪, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ৭১০, সাধারন সরবরাহ ও কাঁচামাল সামগ্রী ১০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৯, অনুষ্ঠানের নামে ১ লাখ ৭৫ হাজার, মুদ্রন ও মনিহারি ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৯৭, প্রচার ও বিজ্ঞাপন ৯৯ হাজার ৯৭৪, ওই অর্থ বছরে ১কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দের বিপরিতে ব্যয় দেখানো হয় ১কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৬ টাকা। একই খাতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ২ কোটি ৭১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বিপরিতে ব্যয় হয় ২ কোটি ১৯ লাখ ৯ হাজার ৮টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২ কোটি ৪০ লাখ ২৬ হাজার ৯০০ টাকা বরাদ্দে খরচ দেখানো হয় ২ কোটি ১৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৬ টাকা।
অপরদিকে স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট (সেইফ) প্রকল্পে ২০২০-২১ অর্থবছরে চারটি ট্রেডে ১২০ জন প্রশিক্ষনার্থীর পিছনে ব্যয় করেছেন ৩২ লাখ ৯৯ হাজার ৩৫৩ টাকা। এতে প্রতি শিক্ষার্থীর পিছনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৪৯৪ টাকা। যদিও করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের মার্চ থেকে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পরও ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন ডালি, উচ্চমান সহকারী শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক হেলাল। প্রশিক্ষকদের ভাতা ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০, সহায়ক কর্মীদের ভাতা ৪ লাখ ৭৬ হাজার, প্রশিক্ষনার্থীর জন্য উপকরন ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৫, গেষ্ট ট্রেইনার ও জবপ্লেসমেন্ট অফিসার ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০, চাকুরির নিয়োগ তালিকা ভুক্তি ট্র্যাকিং মিটিং সেমিনার নিয়োগ কর্তা স্টোক হোল্ডারের সাথে সিপ প্রচারমুলক কার্যক্রম খাতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৩৯, ডাটাবেস ট্রেসার স্টাডিজ ট্র্যাকিং ৭৯ হাজার ৯২০, স্টেশনারী ৮৪ হাজার, মূল্যায়ন সার্টিফিকেশন এবং নিবন্ধন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৪, আকস্মিক খাতে ১লাখ ৩ হাজার ৬৩৪ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৬০ জন প্রশিক্ষনার্থীর ব্যয় দেখানো হয় ৭২ লাখ ৭৮ হাজার ৮২৩, টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩৬০ জন প্রশিক্ষনার্থীর ব্যয় ৭৪ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৮ টাকা দেখানো হয়েছে।
প্রকল্প ও রাজস্ব খাতে অবাক করা বিষয় হলো, করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও থেমে নেই আপ্যায়ন ব্যয়, আকম্ষিক ও ভ্রমন ব্যয়সহ দেখানো হয়েছে একাধিক ব্যয়। তবে ব্যয়কৃত এ খাতের সঠিক কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।
ভুয়া বিল ভাউচারের নামে ব্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে, পঞ্চগড় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন ডালি কোন সদত্তর দিতে না পেরে মুঠোফোনটি অফিসের উচ্চমান সহকারি শহিদুল ইসলামকে ধরিয়ে দেন।