চালের দাম বাড়লে কৃষকের লাভ - নৌ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৩১ এএম, ২৬ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
অনেকে চালের দামের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চালের দাম বাড়লে কৃষকরা লাভবান হয় বলে মন্তব্য করেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে এই যে তেলের দাম বেড়েছে, সেখানে ৬০ হাজার কোটি টাকা ভুর্তুকি দেয়া হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশে তেলের জন্য ৬০ হাজার কোটি ভুর্তুকি দেয়া হয় না। ব্রিটেনে তেলের জন্য ১৮০ টাকা দিতে হয়। এখানে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে বলে অনেক কম মূল্যে তা পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলো দখল হয় গেছে, এটাই বাস্তবতা। নদী তো একদিনে দখল হয়নি, ধীরে ধীরে হয়েছে। নদীর পাড়ে ১০ তলা বিল্ডিং সরানোটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন এই কাজগুলো করতে গিয়ে। তবুও আমরা করেছি। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ যে এখন নদী নিয়ে চিন্তা করছে, এইটা আমাদের সফলতা। নদী বাঁচাও আন্দোলনের জন্ম ২০০৫ সালে। সেখান থেকে এখন সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে নদীর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি, এটাই আমাদের আন্দোলনের সফলতা। আজকে যেখানেই নদী দখল হচ্ছে, সেই জায়গায় মানুষ প্রতিবাদ করছে। যেহেতু ডিজিটাল হয়ে গেছে বাংলাদেশ, তাই কিছু গোপন থাকছে না।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। মাথাপিছু আয় ২৭০০ ডলারে চলে গেছে। আমাদের বিনিয়োগ বেড়েছে। রফতানি আয় বেড়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন কত বড় অর্থনীতি! বাংলাদেশের বাজেট এখন ছয় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীতে এখন নাড়া দিচ্ছে। পৃথিবীর বর্তমান চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়েও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের যে জট, সে জট দ্রুত সরবে না। আমারা শুধু বলছি দ্রুত করতে হবে। এটা দ্রুত করার বিষয় না। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। চ্যালেঞ্জগুলো বর্তমান সরকার গ্রহণ করছে। আপনারা বুঝতে পারছেন, সরকার চোখ-মুখ বন্ধ করে বসে নেই। সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে নদীকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যেতে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খান। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড. মহসিন আলী মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিসের সিনিয়র অ্যাডভাইজার মমিনুল হক সরকার প্রমুখ।