সপ্তাহের ব্যবধানে চাল ও মরিচের দাম আরো বেড়েছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১:২৬ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০২:১১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে চাল ও মরিচের দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে ফুল ও বাঁধাকপির দাম। চালের দাম বাড়ার পেছনে কল মালিকদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আটাশ চাল। যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা কেজি দরে আর বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৬ টাকা।
মিনিকেট গত সপ্তাহে ৫৭ থেকে ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৪ টাকায়। এছাড়া নাজিরশাইল ৬৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে , যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আর ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মোটা চাল। কাওরানবাজারের নাজির নামের এক দোকানি বলেন, চালের দাম বাড়ার পেছনে মিল মালিকদের হাত রয়েছে। সরকারকে চাল আমদানি করতে বলেছিলাম। সেটা করলে এভাবে চালের দাম বাড়তো না। দেশে সব চালেরই কম বেশি দাম বেড়েছে। দেশে চালের তো কোনো সংকট নেই, তবে কেন দাম বাড়বে?
এদিকে সরকার নির্ধারিত আলুর দাম উপেক্ষিত। বাজারে নতুন ও পুরোনো আলু ৪৫ ও ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আকার ও বাজার ভেদে দাম বেড়ে প্রতি পিস ফুল ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫-৩০ টাকায়। আর কেজিপ্রতি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৯০ টাকায় বিক্রি হতো। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে মরিচের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে কামাল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। এছাড়া দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকায় কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গাজর ৪০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা, বেগুন ২০-২৫ টাকা, শালগম ২০ টাকা কেজি, কাঁচা টমেটো ২০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, সিম ২০-২৫ টাকা এবং শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তত রয়েছে মুরগির দাম।