যশোর বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা লোপাট, গা ঢাকা দিয়েছেন নিম্নমান সহকারী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ এএম, ১১ অক্টোবর,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৫২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষা বোর্ডের আড়াই কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রবিবার দুপুরে দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে একটি দল শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেন। এর আগে আজ সকালেই শিক্ষা বোর্ড সচিব এ এম এইচ আলী আর রেজা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
চলতি অর্থবছরে সরকারের আয়কর ও ভ্যাট বাবদ যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ১০ হাজার ৩৬ টাকার ৯টি চেক ইস্যু করা হয়। এই ৯টি চেক জালিয়াতি করে যশোরের নামসর্বস্ব ‘ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৮৯ লাখ ১২ হাজার ১০ টাকা এবং ‘শাহী লাল স্টোর’ নামে অপর আরেকটি প্রতিষ্ঠান ৬১ লাখ ৩২ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেয়। সরকারি ছুটি থাকায় ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দুদিন পর গতকাল রবিবার শিক্ষা বোর্ডের সচিব এ এম এইচ আলী আর রেজা দুদক কার্যালয়ে গিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় অভিযোগ করেন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। দুদক কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন। যশোর বোর্ডের সচিব এ এম এইচ আলী আর রেজা বলেন, দুদিন সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার আমরা দুদকে একটি অভিযোগ দিয়েছি। ছুটি না নিয়ে বা কোনো তথ্য না দিয়েই বৃহস্পতিবার থেকে বোর্ডের নিম্নমান সহকারী (হিসাব) আবদুস সালাম গা ঢাকা দিয়েছেন। এদিকে চেক জালিয়াতির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শিক্ষা বোর্ডের হিসাব প্রদান শাখার হিসাব সহকারী আবদুস সালাম পালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন।
তিনি বলেন, যে দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা শিক্ষা বোর্ডের ব্যাংক হিসাবের চেক জালিয়াতি করে টাকা লোপাট করেছেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তারা টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমরা বলেছি, এটা একটি আইনি প্রক্রিয়া। টাকা ফেরত দিলেও তা আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে।
বোর্ডের সচিব এ এম এইচ আলী আর রেজা বলেন, দুদিন সরকারি ছুটি থাকায় রবিবার আমরা দুদকে একটি অভিযোগ দিয়েছি। দুদক কর্মকর্তারা অভিযোগ গ্রহণ করে সরেজমিন তদন্ত শুরু করেছেন। ছুটি না নিয়ে বা কোনো তথ্য না দিয়েই বৃহস্পতিবার থেকে বোর্ডের নিম্নমান সহকারী (হিসাব) আবদুস সালাম গা ঢাকা দিয়েছেন। তার মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। দুদক যশোরের উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে।