নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা জনজীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৫ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫০ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য চাল আমদানি বিগত যেকোনও সময়ের চেয়ে বেড়েছে। গত এক বছরে চাল আমদানি বেড়েছে ৩ হাজার ৩৫৬ শতাংশ। যা যেকোনও সময়ের চেয়ে রেকর্ড। কিন্তু চাল আমদানি বাড়লেও বাজারে মূল্য কমায় এর কোনও প্রভাব নেই। সরকারি তথ্য মতে, দেশে এখন মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৪৮ টাকার ওপরে। সরু চাল কিনতে গেলে গুনতে হচ্ছে ৬৬ টাকার উপরে।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির মতে, গত এক বছরে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সরু চালের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ। আর মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশের কাছাকাছি। এ ছাড়া, বাজারে নিত্যপণ্যও জনসাধারণের নাগালের বাইরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুচরা বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম। কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা। পাশাপাশি হালিতে ৪-৬ টাকা বেড়ে ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। এছাড়া বেড়েছে আটা, আদা-রসুন, দারুচিনি সহ বিভন্ন ডালের দাম।
টিসিবি তথ্যমতে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুরগির দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। রাজধানীর বিভিন্ন কাচা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কারওয়ান বাজার ও মালিবাগ বাজারে কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজারেই মুরগির দাম বেশি। তাছাড়া খামার পর্যায় থেকে মুরগির দাম বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।