মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে খরচ বাড়ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১:৫৪ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৫ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৪
দীর্ঘ ৯ বছরেও হচ্ছে না মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনেই বিদ্যুৎ বিভাগের এখন এক যুগ লাগবে বলে জানানো হয়েছে। মেগা প্রকল্প মাতারবাড়ি ১২শ’ মেগাওয়াট আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটিতে সাত বছর এক মাসে অগ্রগতি মাত্র ৪৫ শতাংশ। অর্থ ব্যয় হয়েছে ৪৮.৫৩ শতাংশ। প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বিস্তারিত ডিজাইন করা হয়। এই ডিজাইনের কারণে খরচ ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা বাড়ছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ পরিকল্পনা কমিশনের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ধীরগতির কারণে সময় সাড়ে তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের কাছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি অনুমোদনের পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিটেইল ডিজাইন করে। সে অনুযায়ী খরচ বেড়েছে প্ল্যান্ট ও জেটির ক্ষেত্রে। এখন তা একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় বলে কমিশন জানায়।
সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পাওয়ার সেক্টর মাস্টার প্লান অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালে দেশে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। আর সে আলোকে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হলো ২৫ হাজার মেগাওয়াটের কিছু বেশি। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা সাড়ে ১৩ হাজার থেকে ১৩ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সরকার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে দুটি ৬০০ মেগাওয়াটের মোট ১২০০ মে.ও. আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট (প্রথম সংশোধন) ২০১৪ সালের ১২ আগস্ট একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প ঋণসহ ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি সমাপ্ত করার সময় ছিল ২০২৩ সালের জুনে। কিন্তু এখন এটার খরচ ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আর মেয়াদ আরো সাড়ে তিন বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। প্রকল্পে জাইকা থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। সিপিজিসিএল প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা।