রাজস্ব বাড়াতে অটোমেশনে গুরুত্ব দিচ্ছে এনবিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৬ এএম, ৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩২ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৪
সরকারি রাজস্ব বাড়াতে অটোমেশনে গুরুত্ব দিচ্ছে এনবিআর। ধরা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য সরকারের। এ লক্ষ্যে বিধিবদ্ধ পদ্ধতিতে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেবা সহজীকরণ, মানোন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক ভিত্তিতে অটোমেশন ও রাজস্ব আহরণের উদ্দেশে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডাটা ইন্টিগ্রেশনসহ নানা উপায়ে ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়কর থেকে সর্বোচ রাজস্ব আদায় করতে চায় সংস্থাটি।
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা, যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের চেয়ে ১১ হাজার কোটি টাকা বেশি। মোট আয়ের মধ্যে এনবিআরকে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে। এজন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব নীতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক মো. আনোয়ার হোসাইন।
তিনি বলেন, ভ্যাট আদায় বাড়াতে শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর ৪ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ করা, রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার ও উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর অব্যাহতি দেয়া, ভারী ও হালকা প্রযুক্তি শিল্প বিকাশের অনুকূল নীতি প্রণয়ন করা, কর ফাঁকি রোধে আরোপিত জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণের পরিবর্তে সমপরিমাণ করা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে খাবারের বিলের ওপর ১৫ শতাংশ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাটের পরিবর্তে ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
ট্যাক্স জিডিপিতে পিছিয়ে থাকলেও তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন, দেশে শিল্পের বিপ্লব ঘটবে। কলকারখানা বাড়ছে। কিন্তু শিল্পের উপযোগী দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। আমাদের দক্ষ জনবল নেই। দক্ষ জনবল তৈরিতে যারা সহযোগিতা করবে, আমরা তাদের সহযোগিতা করব। অন্যদিকে ট্যাক্স জিডিপিতে আমরা পিছিয়ে। ট্যাক্স জিডিপিতে আমাদের অবস্থান এখনো ৯ শতাংশের নিচে। অন্য বহু দেশে যা ১২, ১৩ ও ১৪ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। তবে আমরা শুল্ক সহযোগিতা না দিলে আমাদের কাক্সিক্ষত জিডিপি থাকত ১৭ শতাংশের ওপরে। তাই আমরা এটি নিয়ে চিন্তিত বা দুশ্চিন্তা করছি না। ভুটান, মালদ্বীপ, নেপালে ট্যাক্স আসে ভ্রমণ থেকে। কিন্তু আমাদের আসে কলকারখানা থেকে। সুতরাং সব দিকে আমাদের বিবেচনা করতে হয়, সহযোগিতা করতে হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, উন্নত বিশ্বের কাতারে যেতে হলে আমাদের গার্মেন্ট ও পাদুকা শিল্পের ওপর শুধু নির্ভর করলে হবে না। দেশের মিডল ক্লাস কনজিউমারদের প্রতিও নজর দিতে হবে। আগামী কয়েক বছরে মিডল ক্লাস কনজিউমার বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায় মিডল ক্লাস কনজিউমার ৫০ শতাংশ বাড়বে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশে এসি, টিভি, ফ্যান ও মোটরসাইকেলের বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে। আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজার ধরে রাখতে হবে। তাহলে উন্নত বিশ্বের কাতারে আমরা দ্রুতই চলে যেতে পারব