গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ গ্রন্থটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে - সালেহউদ্দিন আহমেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৮ এএম, ২০ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৫ পিএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য গবেষণা গ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে তাদের জন্য এই ব্যাংকিং অ্যালমানাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা এ বইটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন, যা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পেতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয়, গ্রন্থটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট গভর্নেন্সের জবাবদিহীতার বিষয়টিকে আরো শক্তিশালী করবে।
আজ বৃহস্পতিবার এক ওয়েবিনারে মাধ্যমে ব্যাংকিং অ্যালমানাক তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং গ্রন্থটির এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. নজরুল হুদা, নেদারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী, এসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কম্পানিজ এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সাবেবক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেবক ব্যাবস্থাাপনা পরিচালক ও সিইও এফসিএ মো. খলিলুর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাবেকর প্রকল্প পরিচালক এবং সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রার সম্পাদক আবদার রহমান বক্তব্য রাখেন।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ গবেষকদলের সম্পাদিত এটি ধারাবাহিক তৃতীয় প্রকাশনা। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং আমানত, ঋণ, পারফরমেন্স, সেবা এবং প্রডাক্টের একটি তুলনামূলক চিত্র এক মোড়কে ফুটে উঠেছে এই গ্রন্থে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নানামুখী উদ্যোগ ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। দেশের সকল ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেই বিশাল কর্মযজ্ঞের সংকলিত হালনাগাদ তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ গবেষণাগ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে। আগামীতে যে চতুর্থ গ্রন্থটি প্রকাশ হবে, তাতে আরো নানান নতুন তথ্য সংযুক্ত হবে বলে আশা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকাশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নজরুল হুদা বলেন, করোনকালীন সময়ে ১০০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। কাজটি সহজ ছিল না। গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচারণা দরকার। তাহলেই এ পরিশ্রম সার্থক হবে। এসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন গ্রন্থটিকে ব্যাংক আর্থিক খাতের একটি ‘তথ্যকোষ’ উল্লেখ করে বলেন, ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ সম্পর্কে বিশিষ্ট গবেষক, ব্যাংকার, অর্থনীতিবীদদের মতামত সংগ্রহ করলে গ্রন্থটি আরো সমৃদ্ধ হতো।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্যারের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে করোনার সময়ে গ্রন্থটির প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। এটি অনেক তথ্যকে একসঙ্গে করা হয়েছে। জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ গ্রন্থটির ব্যাপক বিপননের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রত্যেক ব্যাংকের লাইব্রেরিতে যাতে রাখা হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে। ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফসিএ মো. খলিলুর রহমান বলেন, অর্থের অভাবে এ উদ্যোগ যেন থেমে না যায় সেই দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আরো শক্তিশালী সহযোগিতা কামনা করেন।