করোনার বছরে দেশে কোটিপতি বেড়েছে ১১৬৪৭ জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৬ এএম, ২৬ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৫ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। সংক্রমণ রোধে দিনের পর দিন কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় সাধারণ মানুষের আয় তলানিতে নেমেছে। অনেকে খাদ্যাভাবেও ভুগছে দারুণভাবে। ঠিক তার উল্টো চিত্র একটি বিশেষ শ্রেণির ক্ষেত্রে। এই করোনাকালে এক শ্রেণির মানুষের আয়-রোজগার অনেক বেড়ে গেছে। করোনার গেল এক বছরে দেশে কোটিপতির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গেল এক বছরে (২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন। কোটিপতি বৃদ্ধির এ হার আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। যদিও করোনাকালে দেশে এত কোটিপতি বেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ মার্সে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর সময় দেশে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। আর চলতি বছরের মার্চ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ২৭২ জনে। করোনাকালীন এক বছরে কোটিপতি বেড়েছে ১১ হাজার ৬৪৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ সময়ে অর্থাৎ ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে দেশে কোটিপতি বেড়েছিল ৬ হাজার ৩৪৯ জন। পরের বছর এসে তা এক লাফে দ্বিগুণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে, দেশে এক কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চে ১ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারী হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ২২৯টিতে। আগের বছর মার্চে যা ছিল ৬৪ হাজার ৭২৬টি। এক বছরের ব্যবধানে ১ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৩ হাজার ১৫৬টি। গেল এক বছরে দেশে ৫ কোটি ১ টাকা থেকে ১০ কোটির মধ্যে ১০ হাজার ৪৯৯ জন, ১০ কোটি ১ টাাক থেকে ১৫ কোটির মধ্যে ৩ হাজার ৪৪৬ জন, ১৫ কোটি ১ টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৬৯৩ জন, ২০ কোটি ১ টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৮১ জন, ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ৭৬৬ জন, ৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৩৮৮ জন, ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটির মধ্যে ২৯৬ জন, ৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০৪ জন এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যক্তির সংখ্যা ১ হাজার ৩৭০ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭টি অ্যাকাউন্টে জমা আমানতের পরিমাণ ১৩ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা।