বাজেটে দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার ইঙ্গিত - রেজা কিবরিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৫ এএম, ৪ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৩৭ এএম, ১২ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, সরকারের দেয়া সব পরিসংখ্যান, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, সবাইকে টিকা দেয়ার অঙ্গীকার এগুলো সবকিছুই ’১৮ সালের সংসদ নির্বাচনের মতোই ভুয়া মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বাজেটে জনগণকে করোনার মহাসংকট থেকে রক্ষার দিকনির্দেশনা নেই, দুর্নীতির ধারাবাহিকতা রক্ষার ইঙ্গিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের পর এবি পার্টি আয়োজিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজা কিবরিয়া এ কথা বলেন। এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় বিকেল সাড়ে ৪টায় অনলাইন ব্রিফিং শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বাজেটের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক, আমিনুল ইসলাম এফসিএ ও কেন্দ্রীয় নেত্রী ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় রেজা কিবরিয়া বলেন, এটি দুর্নীতির ধারাবাহিতা রক্ষার বাজেট। স্বাস্থ্যখাতে সরকার গত দুই বছরে কিছুই করতে পারেনি। একটি কোম্পানি, একটি দেশের কাছে জিম্মি থাকায় মাত্র দুই শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে। বিদেশি ঋণ জনগণের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে পরিশোধ করা হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যে প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রেখেছেন তাদের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেই। রফতানি খাতে ২ শতাংশ ভর্তুকির সুবিধা পাবে অর্থ পাচারকারীরা। বড় প্রকল্পে লুটপাটের সুযোগ বেশি তাই সরকার গরিবদের প্রণোদনায় আগ্রহ দেখায় না। বাজেটে কোনো ভিশন নেই এবং এ বিপদের সময় অর্থমন্ত্রী কোনো কারিশমা দেখাতে পারেননি।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহে দায়িত্বপালনকারী সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে অর্থবছরের সময় পরিবর্তন এখন অপরিহার্য। এবারও বাজেট বাস্তবায়নের কোনো সুষ্ঠু রোডম্যাপ পেলাম না। ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হলেও রাজস্ব আহরণে অটোমেশন ও জনবলের দক্ষতা কাজে লাগানোর কোনো পদক্ষেপ নেই, ফলে রাজস্ব খাতে প্রাপ্তির ফাঁকিবাজি রয়ে গেল। উন্নয়ন খাতে প্রকল্প পরিকল্পনা দেখা যায় না, ফলে উন্নয়ন খাতের অর্থ যথাযথভাবে খরচ করা যায় না এবং জনগণ তার কাক্সিক্ষত উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। বাজেট বিশ্লেষণে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রশ্ন তুলে বলেন, যে লক্ষ্যে রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল আজকের ঘোষিত বাজেট কি আমাদের সেই কাক্সিক্ষত রাষ্ট্র গঠনে ভূমিকা রাখবে? আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এ বাজেটে কি আছে তা বিবেচনা করতে হবে। যে বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য না তা ঘোষণায় রাষ্ট্রের কোনো কল্যাণ নেই। এবি পার্টির পক্ষ থেকে আমরা একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র গঠনের জন্য বাস্তবভিত্তিক বাজেট চাই। ব্রিফিং অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, সহকারী সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, এ বি এম খালিদ হাসান, আনোয়ার সাদাত টুটুল, শাহ আব্দুর রহমান, আলতাফ হোসেন, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক এ এফ ওবায়দুল্লাহ মামুন, দক্ষিণের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিনহাজুল আবেদীন শরীফ, আবদুল হালিম নান্নু, যুবনেতা আনোয়ার ফারুক, আলী নাসের খান, মাসুদ জমাদ্দার রানা, ঢাকা মহানগর যুগ্ম সদস্য সচিব আফ্রিদ হাসান তমাল, মহানগর উত্তরের সংগঠক সেলিম খান, সাইফুল মির্জা, রেখা আক্তার, ফারহানা মিনা খাতুন পাখি, লুনা আক্তারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা।