এবারও করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০২ এএম, ৪ জুন,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৫ এএম, ১২ অক্টোবর,শনিবার,২০২৪
২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নতুন অর্থবছরেও ব্যক্তির করমুক্ত আয় সীমা ৩ লাখ টাকাই থাকছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এমন প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য বিদ্যমান এই করহার তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের জন্যও প্রযোজ্য ছিল। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের সামাজিক আত্তীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ বিধান চালুর পাশাপাশি তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। বর্তমান সরকার ব্যবসা সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিশেষ করে ব্যক্তিশ্রেণির ব্যবসায়ী করদাতাদের কর দায় লাঘবে সরকার সদা তৎপর। এ লক্ষ্যে ব্যক্তি করদাতাদের ব্যবসায়িক টার্নওভার করহার কমিয়ে ০.৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’ ২০২০-২১ অর্থবছরের ব্যক্তি শ্রেণির করহার কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার রাজস্ব আদায়ে একটি করদাতা, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব দর্শনের সূচনা করেছে।
এই দর্শনের ভিত্তি হচ্ছে করদাতাদের উপর ক্রমান্বয়ে করের বোঝা কমিয়ে অর্থনীতিতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো। জানা আছে যে, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ছিল মাত্র ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, যা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। নারী করদাতা, সিনিয়র করদাতা, প্রতিবন্ধী করদাতা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত এই আয়ের সীমা আরও বেশি। ২০০৯-১০ অর্থবছরে স্টক মার্কেটে নন-লিস্টেড কোম্পানির করহার ছিল ৩৭.৫ শতাংশ, যা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই বাজেট প্রস্তাব প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। এছাড়া এ নীতির আলোকে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এবং ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করহার যথাক্রমে ২৭.৫ শতাংশ ও ৪২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে যথাক্রমে ২৫ শতাংশ ও ৩৭.৫ শতাংশে আনা হয়েছে। সরকারের এই যুগোপযোগী নীতির কারণে করদাতাদের যেমন স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়েছে, তেমনি দেশে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পরিমাণও বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।